মিয়ানমারের ২ জেনারেলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

0 ৬০৪

অভ্যুত্থানের জেরে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল দপ্তর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নিষেধাজ্ঞায় পড়া দু’জন হলেন, মিয়ানমারের বিমান বাহিনীর প্রধান জেনারেল মুং মুং কিয়াও এবং সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অব স্টাফ ও সামরিক বাহিনীর অন্যতম স্পেশাল অপারেশন ব্যুরোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোয়ে মিন্ট তুন।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “সামরিক বাহিনীটিকে অবশ্যই তাদের পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে হবে এবং জরুরিভিত্তিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে বার্মার (মিয়ানমার) ক্ষমতায় পুনর্বহাল করতে হবে, অন্যথায় অর্থ মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না।”

আরেক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনও একই ধরনের হুমকি দিয়ে বলেছেন, “জনগণের ইচ্ছাকে যারা দমন করছে ও সহিংসতা করছে তাদের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নিতে আমরা দ্বিধা করবো না।

তিনি আরও বলেন, “আমরা সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ওপর সব ধরনের হামলা বন্ধ করার, যাদের বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে তাদের সবার আশু মুক্তি, সাংবাদিক ও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও তাদের হুমকি দেওয়া বন্ধ করার এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে পুনর্বহাল করার আহ্বান জানাই।”

সোমবার মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। এ সময় দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এবং হাজার হাজার প্রতিবাদকারী জনতা বিভিন্ন শহরগুলোতে জড়ো হয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখায়।

প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় নেমে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, সামরিক জান্তার এমন হুমকিতেও শঙ্কিত হলেও পিছু হটেননি তারা। সামরিক অভ্যুত্থানের পর তিন সপ্তাহ পার হলেও প্রতিদিন জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ও পেশাজীবীদের ডাকা আইন অমান্য আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হয়েছে জান্তা। সামরিক শাসনের অবসান ও নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিসহ আটক অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

এর আগে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথম পর্বে দেশটির বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মতোই এবার যে দুই জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সোমবার উভয়কেই কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এরা দুই জনই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের সদস্য। এই নিষেধাজ্ঞার বলে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কোনো সম্পদ থাকলে তা জব্দ হবে এবং মার্কিন নাগরিকরা এদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.