যে কারণে মেসিকে তুলে নেন পিএসজি কোচ

১৯৩
পিএসজি কোচ ও লিওনেল মেসি। ছবি : রয়টার্স

পিএসজির ঘরের মাঠে গতকালই প্রথমবার নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। তবে পুরো ম্যাচ খেলা হয়নি তাঁর। ৭৫তম মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকাকে তুলে নেন পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো। তখনো জয় পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তায় ছিল প্যারিসের ক্লাবটি। এমন সময়ে মেসিকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। তবে কোচ জানিয়েছেন, মেসির ভালোর জন্যই তাঁকে তুলে নিয়েছেন তিনি।

লিঁওর বিপক্ষে লিগ ওয়ানের ম্যাচটিতে কাল হারতে হারতে জিতেছিল পিএসজি। পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে নেইমার ও ইকার্দির গোলে শেষ মুহূর্তে জয় তুলে নেয় পিএসজি। কিন্তু জয় পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় এখন মেসিকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার ইস্যু। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও ওঠে এই প্রসঙ্গ।

৭৫ মিনিটে মেসিকে যখন উঠে আসার ইশারা দেন কোচ তখনও মেসি খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। তবুও মেসিকে তুলে নিয়ে তাঁর জায়গায় ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমিকে নামান কোচ। মাঠ ছাড়ার সময় কিছুটা অস্বস্তিই দেখা যায় আর্জেন্টাইন তারকার চোখে। মনে হয়েছে, কোচের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন তিনি।

সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই মুহূর্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে। তখন সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে একটু ঘুরে ব্যাখা করলেন পচেত্তিনো, ‘আমার মনে হয়, আমরা সবাই জানি যে আমাদের ৩৫ জনের স্কোয়াডে দারুণ সব ফুটবলার আছে। কেবল ১১ জনই একসঙ্গে খেলতে পারে। এর বেশি খেলানো সম্ভব নয়। মাঠের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয় দল ও প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভালোর জন্যই। সব কোচের ভাবনায় এটিই থাকে। কখনও এসব কাজে লাগে, কখনও লাগে না। কখনও ফুটবলাররা এসব পছন্দ করে, কখনও করে না। দিনশেষে, আমরা তো এ কারণেই এখানে আছি!’

পিএসজি কোচ আরো বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তগুলি (খেলোয়াড় বদলি) কোচকে নিতেই হয়। প্রতিক্রিয়ার কথা বললে, আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সে কেমন বোধ করছে। সে বলল যে ঠিকঠাক আছে। এই তো, এটাই ছিল আমাদের কথোপকথন।’

ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে লিঁওর বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। এই ম্যাচেও ভূমিকা রাখতে পারলেন না রেকর্ড ছয় বারের বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি। যদিও বেশ কয়েক বার সুযোগ তৈরি করে আশা জাগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, নতুন দলের হয়ে জালের দেখা শেষ পর্যন্ত পেলেন না আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

মেসির হতাশার রাতে স্বস্তি দিলেন নেইমার ও ইকার্দি। অন্তত মেসির মন খারাপ হতে দিলেন না। পিছিয়ে পড়ার পরও দলকে জয় উপহার দিয়েছেন নেইমার-ইকার্দি।

বিরতির পর ৫৪ মিনিটে এগিয়ে যায় লিঁও। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬৬ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান নেইমার। গুস্তো ফাউল করায় পেনাল্টি পায় পিএসজি। পেনাল্টিতে স্পট কিকে সমতা টানেন ব্রাজিল তারকা।

৮২ মিনিটে ডি মারিয়ার বদলে ইকার্দিকে মাঠে নামান মাওরিসিও পচেত্তিনো। কোচকে হতাশ করেননি ইকার্দি। ৯৪তম মিনিটে এমবাপের দারুণ ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন তিনি।  ফলে গোটা তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে প্যারিসের ক্লাবটি।

Comments are closed.