রমাজানে সুস্থ থাকার ১০টি উপায়
স্বাস্থ্য ডেস্ক: আত্মশুদ্ধির মাস মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে চলে এ আত্মশুদ্ধির প্রক্রিয়া। হঠাৎ করেই বছরের চিরাচরিত অভ্যাসগুলো পাল্টে যায় এ মাসে। এ সময় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসে খাদ্যাভ্যাসে। এ পরিবর্তন মানিয়ে নেওয়া প্রথম দিকে একটু কঠিন হয়ে যায়। তাই শরীরের উপর প্রভাব পড়ে। সিয়াম সাধনার এ মাসটি আপনি কিভাবে কাটাবেন সে সম্পর্কে থাকছে বিষেজ্ঞদের কিছু পরামর্শ।
সেহরিতে পর্যাপ্ত শক্তিশালী খাবার রাখুন:
রমজান মাসে খাওয়াদাওয়ার রুটিনটা একদমই পাল্টে যায়। সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্তই খাওয়াদাওয়া হয়, আর এই খাবার দিয়েই সারাদিনের শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। তাই রোজার মাসে সেহরি বাদ দেয়া চলবে না একদমই। না খেয়ে রোজা রাখবেন না। প্রতিদিন নিয়ম করে সেহরি খাবেন। সেহরিতে যেন পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সেহরির খাবারে অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট, আঁশযুক্ত খাবার এবং প্রোটিন রাখুন।
বেশি বেশি ফলমূল খেতে হবে:
ফলমূল শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এগুলো শরীরের ভিটামিন, মিনারেল এবং পানির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। তাই সারাদিন রোজা রাখার পর ফলমূল খাওয়া উচিত।
চিনিযুক্ত খাবার বর্জন করুন:
চিনিযুক্ত ও ভারী খাবার বর্জন করুন রমজান মাসে। সারাদিন না খেয়ে থাকার পর এগুলো শরীরের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
ধীরে ধীরে খাবার খান:
সারাদিন খাবার না খাওয়ায় রোজার মাসে শরীরের পুষ্টির চাহিদা থাকে আলাদা। তাই ইফতারে একসঙ্গে অনেক কিছু খাবেন না। ধীরে ধীরে খান। কিছু খেজুর এবং পানি দিয়ে ইফতার শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে অন্য খাবারগুলো খান।
ইফতারে স্যুপ রাখুন:
স্যুপ আপনার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি আপনার শরীরের ভিটামিন, মিনারেল ও পানির চাহিদা পূরণ করে। তাই প্রতিদিনের ইফতারের তালিকায় স্যুপ রাখার চেষ্টা করুন।
বেশি বেশি পানি পান করুন:
দিনে অন্তত ৮-১২ গ্লাস পানি পান করুন। ইফতারের সময় থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাদ্য গ্রহণ করুন। তবে চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন:
চা এবং কফির মতো ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন এই রমজান মাসে, কেননা এগুলো শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে।
স্বাস্থ্য অনুযায়ী রোজা:
প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থা আলাদা। তাই কোন ধরনের অসুস্থতা থাকলে রোজা রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পর্যপ্ত ঘুম:
পর্যাপ্ত ঘুমের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা ৭-৮ ঘণ্টার কম ঘুম আপনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেবে।
সূত্র: ব্রেকিংনিউজ/