স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি-জামায়াত তথা দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ডাক দিয়ে এবং ফজলে হোসেন বাদশার নেতৃত্বে রাজশাহীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশাল মিছিল করেছে মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের করা হয়। পরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি আবারও দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, সংবিধান মতে নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা হয়েছে, ওয়ার্কার্স পার্টি সেটিকে সম্মান এবং স্বাগত জানায়। কিন্তু এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে; বাংলাদেশের সংবিধানকে কলুষিত করার লক্ষ্যে তফসিল এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাঞ্চালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা ২০১৩-১৪ সালের মতো মানুষ পুড়িয়ে মারার নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। পুলিশ পিটিয়ে, মানুষ মেরে, যানবাহনে আগুন দিয়ে গণবিরোধী প্রক্রিয়ায় তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে তাদের এই নীল নকশা কখনোই বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে গণপতি রোধ গড়ে তুলতে হবে।
এমপি ফজলে হোসেন বাদশার নেতৃত্বে শান্তিপ্রিয় রাজশাহীর উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেন, গত তিন মেয়াদে জননেতা ফজলে হোসেন বাদশাকে আপনারা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেছেন। ফজলে হোসেন বাদশা আপনাদের এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে ১৫ বছরে শুধুমাত্র আপনাদের কাজই করেছেন। রাজশাহীবাসীর স্বার্থের বাইরে যায়; এমন কাজ তিনি কখনোই করেননি। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে রাজশাহী আজকে শিক্ষা নগরী হিসেবে সুপরিচিত। তিনি একদিকে যেমন জাতীয় রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার জন্য কাজ করেছেন, অপরদিকে রাজশাহীকে একটি উল্লেখযোগ্য শহরে পরিণত করার জন্য মহান সংসদে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। তাই আসুন, আগামী নির্বাচনেও গণমানুষের নেতা জননেতা ফজলে হোসেন বাদশাকে সমর্থন করে রাজশাহীর চলমান অগ্রযাত্রাকে বেগবান করি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আইনজীবী আবু সাঈদ, আব্দুল মতিন, মনিরুদ্দীন পান্না, নাজমুল করিম অপু, মহানগর যুবমৈত্রীর সভাপতি মতিউর রহমান মতি, সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমতিয়াজ, মহানগর সদস্য সীতানাথ বনিক, আলমগীর হোসেন, মাসুদ আক্তার অনিক, আব্দুল খালেক বকুল, শাহিনুর বেগম, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ওহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বিজয় সরকার।