স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সংবাদ সম্মেলন করে কল রেকর্ড ফাঁস করায় চাঁদা চাওয়ার ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কারসহ বিভাগীয় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যেন ওই কলেজ ছাত্র সত্যি ঘটনা তুলে ধরতে না পারেন, তাকে পুলিশ যেন বাগে আনতে পারে সে কারণে ওই কলেজ ছাত্রকে মিথ্যা, বানোয়াট, পুলিশের সাজানো পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়েছে রাজশাহী জেলা বাঘা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র আরাফাত সাঈদ ও তাঁর পরিবার। আরাফাত সাঈদ বাঘা উপজেলার বলিহার (হাজিপাড়া) গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে।ভুক্তভোগী
পরিবার ও কলেজ ছাত্র আরাফাত সাঈদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত বছর ৩০ নভেম্বর বাগমারা থানার এস আই আল ইমরান আমাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেছিলেন। সেই ঘটনায় আমি সংবাদ সম্মেলন করে চাঁদা দাবির অডিও কল রেকর্ড ফাঁস করে দেই। সে সময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে মিথ্যা মামলায় জড়াবে বলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেছিলেন। আমি তার কথা উপেক্ষা করে সংবাদ সম্মেলন করি।
সংবাদ সম্মেলনের পর পুলিশ কর্মকর্তার চাঁদাবাজির ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন তাৎক্ষনিকভাবে এসআই আল ইমরানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলার আমি একজন সাক্ষী। চলতি মাসের ৩ মে, বুধবার বাঘা থানার এস আই মোঃ ছালজার করিম স্বাক্ষরিত নোটিশে রাজশাহী জেলার বিভাগীয় মামলা নম্বর-০৮/২০২৩, তারিখ ১১/০৪/২০২৩ আমাকে সকাল ১১ঘটিকার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল কে,এইচ, এম এরশাদ এর অফিসে ডাকলে আমি উক্ত দিন ও সময়ে স্বাক্ষী দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর অফিসে গিয়ে তার অফিসের দ্বায়িত্ব নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্য বলেন স্যার জরুরি কাজে বাহিরে আছেন।
আপনাকে পরে ডাকা হবে। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, রাজশাহী স্বাক্ষরিত নোটিশ রাজশাহী জেলার বিভাগীয় মামলা নম্বর-০৮/২০২৩, তারিখ ১১/০৪/২০২৩ স্বাক্ষী দেওয়ার জন্য আমাকে ১৬/০৫/২০২৩ তারিখে বেলা ১১টার সময় মঙ্গলবার ডাকা হয়েছে। এরমধ্যে গত ৬ মে-২০২৩ ইং তারিখে বাঘা থানায় পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় আমাকে ১৯ নম্বর আসামী করা হয়েছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং শিক্ষা জীবন নিয়ে শংকিত। পুলিশ কৌশল করে সাক্ষ্যদানের তারিখ পিছিয়ে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় নাম জড়িয়ে ফাঁসিয়েছে।আরাফা
ত আরো বলেন, এর আগে এসআই আল ইমরানের বিরুদ্ধ রাজশাহী জেলা পুলিশের বিভাগীয় মামলায় তার পক্ষে স্বাক্ষী না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে বলে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়েছে। এর আগে আমার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোনো থানায় একটি জিডি বা মামলা হয়নি। আমি একজন কলেজ ছাত্র। আমাকেসহ আমার পরিবারকে পুলিশের অব্যাহত হুমকি ধামকিসহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো চেষ্টা চলছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি। এ বিষয়ে তিনি পুলিশের আইজিপিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।