রাজশাহীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

0 ৭৭
স্টাফ রিপোর্টার: সারাদেশের মতো আজ রাজশাহীতে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে দশ’টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাতীয় জীবনে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান তুলে ধরে বিশদ আলোচনা করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির বিজয় যখন আসন্ন, তখন-ই ঘটে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সেই হত্যাকা-। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় অনিবার্য জেনে এই দেশকে মেধাশূন্য ও পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। তারা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করা।
হুমায়ূন কবীর বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল নির্মমভাবে। এই পদ্মার পাড় ঘিরে ঘুমিয়ে আছে অনেক বুদ্ধিজীবী, তাঁদের ক্ষয় নাই। তাঁদের চিরকাল আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বুদ্ধিজীবীরা বাঁচিয়ে রাখেন জাতির বিবেক এবং একটি দেশের মননশীল সংস্কৃতিকে। তাঁরা অনেক ত্যাগের মাধ্যমে এই দেশ আমাদের উপহার দিয়ে গেছেনÑ এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলিউল আলম।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুল মান্নান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) ড. মো. মোকছেদ আলী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শাহানা আখতার জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে প্রধান অতিথি শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে সনদ ও পুরস্কার তুলে দেন।  এর আগে সকাল দশ’টায়  জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, আরএমপি’র কমিশনার, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী দপ্তরের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.