রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিশাদ আকরামের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে নিহতের সহপাঠী, শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর ) সকাল ১০টায় পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফেরদৌস রহমান জয়ের সভাপত্বিতে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে তারা এই মানববন্ধন করেন। এসময় তারা শিক্ষা নগরী রাজশাহীর নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানান।
মানববন্ধনে রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা: আব্দুল খালেক বলেন, আমার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় রাস্তায় দাড়াতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের প্রিয় মেধাবী শিক্ষার্থী পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের নিশাদ ছিনতাই কারীদের কবলে পড়ে গুরুত্বর ভাবে আহত হয় । অবশেষে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আরসিইউতে মৃত্যু বরণ করে। যেদিন ঘটনাটি ঘটে ছিল তার পরের দিনই আমরা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করে ছিলাম, মামলা করা হয়ে ছিলো। একজন আসামিও ধরা হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে আরো যে আসামি আছে, তাদের কে এখনো পুলিশ প্রশাসন ধরতে পারে নাই । এই শান্তির শহরে, এই পরিছন্ন শহরে , এই শিক্ষা নগরীতে এ ধরনের কর্মকান্ড মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অতি দ্রুততার সাথে আসামিদের যেন ধরা যায় , সেই ব্যবস্থা করবার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সংশৃলিষ্ট সকলের কাছে দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে এই হত্যা মামলার ন্যায্য সুবিচার আশা করি। আমারা এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই।
কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা: ওলিউর রহমান বলেন , নিশাতের হত্যাকারীকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে সুষ্ঠু বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে এজন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। আমার জানামতে এই ঘটনা দু চার দিন আগেও একই জায়গায় আবার ঘটেছে। আমরা এই ঘটনায় পুনরাবৃত্তি আর চাই না ।
নিশাদের সহপাঠীরা বলেন, নিশাদের হত্যাকারীদের আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি, দোষীদের সর্বচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চাই । আমার চাই না নিশাদের মত এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর কারো না হোক। একই সাথে শিক্ষা নগরী রাজশাহীর নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে অসুস্থ বন্ধুকে দেখে মেসে ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন নিশাদ। ছিনতাইকারীরা তার মাথায় আঘাত করে সঙ্গে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে গুরুতর আহত হন নিশাদ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।পরে ১৬ দিন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।