রাবিতে জাতির পিতার জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

রাবি : নানা আয়োজন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ ১৭ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়।  এদিন সকাল ৭:৪৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম, প্রক্টর প্রফেসর মো. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও রাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন হল, বিভাগ, ইনস্টিটিউট এবং পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

সকাল ৮টায় সাবাস বাংলাদেশ চত্বর থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। সকাল ৮:৪৫ মিনিটে শেখ রাসেল মডেল স্কুল ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে শিশু সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০:৩০ মিনিটে শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘মুজিববর্ষ গ্রন্থ উৎসব-২০২২’ উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার।

বেলা ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সেখানে মুখ্য আলোচক ছিলেন ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর মো. আবুল কাশেম। উপ-উপাচার্য প্রফেসর প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সভাপতিত্বে এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম। সেখানে রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম।

দিবসের কর্মসূচিতে আরো আছে, বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল, বিকেল ৪টায় শহীদ হবিবুর রহমান হলে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধন, বিকেল ৪:৩০ মিনিটে রাবি জিমনেশিয়ামে শিশুদের খেলাধুলা, সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন করছে।