মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে ড্রেজারের গর্তে ডুবে নাহিদ (১১) নামের এক স্কুল পড়–য়া ছাত্র নিখোঁজ হয় সকাল ১১ টার দিকে। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও রৌমারী ফায়ার সার্ভিসে ডুবারু না থাকায় লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পড়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসকে যোগাযোগ করলে ফায়ার সাভির্স এর অফিসার সাইফুর রহমানেরর নেতৃত্বে ৮/১০ জনের একটি টিমকে নিয়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সকাল ১১ টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর পশ্চিমপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে ব্রহ্মপুত্র নদে।
স্থানীয় এলাকাবাসিদের বরাত দিয়ে জানা গেছে ধনার চর, আকন্দপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের দুই ছেলে নাহিদ ও নাইমসহ ৭/৮জন ছেলে ওই নদীতে গোসল করতে যায়। এসময় সকলেই গোসল করে কিনারায় উঠলেও নাহিদ ড্রেজারে মাঠি তুলে ৩০ ফিট গর্ত ওই গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। এসময় তার ছোট ভাইয়ের আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন খোজাখুজি করেও না পেয়ে রৌমারী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
তারা ঘটনাস্থলে দীর্ঘ চার ঘন্টা চেষ্টা করে তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। পড়ে জামালপুর থেকে ৬ ঘন্টার পর মৃত্যু নাহিদের লাশ উদ্ধার করেন ডুবারু আব্দুল মান্নান। শিশুটি ধনারচর পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র বলে জানা গেছে। তবে এলাকাবিসদের দাবী ব্রক্ষপুত্র চৌরাস্তার পশ্চিম পাশে পাশাপাশি ৫ টি ড্রেজার মিশিন দ্বারা অবৈধভাবে বালি তুলে ৩০ ফিট গর্ত হয়েছে কিনার ঘেষে।
ওই গর্তেই কিন্তু এই শিশুটি ডুবে অকালেই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনায় রৌমারী ভূমি কর্মকর্তা সারোয়ার রাব্বী ড্রেজারে অভিযান চালায়। এসময় মালিকদের না পেলেও ভ্রাম্যমান পরিচালনা করে ১ লাখ জরিমানা করা হয়েছ বলেও জানা গেছে।
এসময় উপস্তিতি ছিলেন জামালপুর ফায়ার সার্ভিস টিম অফিসার সাইফুর রহমান, ডুবারু আব্দুল মান্নান, রৌমারী ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্ধু, রৌমারী থানার ইনর্চাজ রুপ কুমার সরকারসহ আরও অনেকেই। জামালপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন আমরা খবর পেয়েছি বিকাল ৩টার দিকে খবর পাওয়া মাত্রই রৌমারী আসতে প্রায় ২ ঘন্টা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর রৌমারী ঘটনাস্থলে ৫টার সময় উপস্তিত হয়েই লাশ উদ্ধারের কাজ চালিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ডুবারু আব্দুল মান্নান বলেন জামালপুর থেকে রৌমারী এসে ড্রেজারে মাটি উঠিয়ে ৩০ গভির থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। আমাদের জন্য জামালপুর থেকে এসে লাশ উদ্দার করা অনেক কষ্ট করতে হয় তারপর ফায়ার সার্ভিস সারাজীবন অসহায় মানুষের সেবা দিয়ে আসছে কষ্ট মনে করিনা তবে আমি সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি রৌমারীতে ডুবারুর জরুরী প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।