মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী টু চিলমারী হয়ে জেলা শহরে যেতে ব্রক্ষপুত্র নদে শ্যালো বোর্ডে যাতায়াতের সময় লাগে প্রায় ৪ ঘন্টা। নৌকা থেকে নেমে আবার উঠতে হয় চার চাক্কার বাসে। সেখানে সময় অতিবাহিত হয় প্রায় দের ঘন্টা, তারপর সে কুড়িগ্রাম সদরে প্রবেশ করা সম্ভব হয়। সেকারনেই, রৌমারী-রাজিবপুরের প্রায় তিন লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবী ব্রক্ষপুর নদের উপর একটি সেতু। এই সেতুটি ৫০ বছর যাবৎ দাবী করে আসছিল রৌমারী- রাজিবপুরে মানুষ গুলো।
তারই প্রেক্ষিতে ২৮ কুড়িগ্রাম ৪ আসনের এমপি জাকির হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাতীয় সংসদের বারবার ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি ব্রীজের জোর দাবী জানিয়ে ছিলেন। দাবীর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৭ নভেম্বর রৌমারী ফলুয়ারচর থেকে চিলমারী ঘাট, উলিপুরের বোনগ্রাম ও সাহেবের আলগা পরিদর্শন করেন, ড. মনিরুজ্জামান (পিএনডি) পরিচালক প্লানিং এন্ড ডেভলোপমেন্ট বাংলাদেশ ব্রীজ অথরিটি, লিয়াকত হোসেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর বিবিএ মাষ্টার প্লান্ট প্রজেক্ট, মিষ্টার, আবুল হাসান ডেপুটি সেক্রেটারী বাংলাদেশ ব্রীজ অথরিটি।
স্থানীয় ভাবে তাদের সাথে ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্যাহ, সহকারী কমিশনার (ভুমি) তানভীর আহমেদ, অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহসহ আরো অনেকেই।
ব্রক্ষপুত্র নদের উপর ব্রীজ নির্মানে (স্থান নির্ধারন) মাষ্টার প্লানে পরিদর্শন শেষে জাকির হোসেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, রৌমারী থেকে সাহেবের আলগা ২০০ বিঘা জমির মাথা হতে উলিপুরের বোনগ্রাম পর্যন্ত একটি ব্রীজ হলে রংপুর অঞ্চল থেকে কুড়িগ্রাম, চিলমারী, ভুরুঙ্গামারী,ফুলবাড়ির অঞ্চলের মানুষের ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, সিলেটে যাতায়াতে ব্যবসায়ীক সুযোগ সুবিধা খুব সহজেই করতে পারবে। সেই সাথে বাংলাদেশ ভারতের আসাম, মেঘালয় রাজ্যের সাথে একটি ব্যাবসায়ীক সু-সম্পক গঠিত হবে। এ ব্রীজের মাধ্যমে রংপুর বিভাগে একটি দৃষ্টি নন্দিত হবে এবং এর মাধ্যমে উন্নয়ন তরাম্বিত এবং প্রচুর রাজস্ব আসবে।
এ বিষয়ে ড. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ব্রক্ষপুত্র নদের পুরাপুরি এলাকাটি দেখলাম এবং এর উপর ব্রীজের মাষ্টার প্লানিং হিসেবে পরিদর্শন করলাম। পরবর্তীতে এটা নিয়ে আমরা পরিদর্শনে যেটা দেখলাম সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিবো।
Comments are closed.