রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী –রাজিবপুরের আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার আমনের বাম্পার ফলন পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি। বোরো মৌসুমে পাকা ধানে মই দিয়েছে মৌসুমী বন্যা ওই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আমন চাষে ঝুকে পড়ে এঅঞ্চলের কৃষকরা।
কৃষির উপর নিরর্ভশীল কৃষকরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে মাঠির বুক ছিড়ে ফলিয়েছে সোনালী রংয়ের আমনের ফলন। আমন মৌসুমে কৃষকদের ব্যায়বহল খরচ তেমন একটা হয়না, লাভজনক ফসল হিসেবে এঅঞ্চলের খেটে খাওয়া কৃষকরা আমন চাষে আগ্রহ থাকে বেশি। এই মৌসুমে সল্প খরচে বেশি ফসল পেয়ে থাকেন চাষিরা।
কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুর দুটি উপজেলার ফসলি জমির মাটি যেমন সোনার মতোই খাটি যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে। প্রতিবছরই দুই থেকে তিন দফা পাহাড়ী ঢলের ঘোলা পানি ফসলি জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মাটির উর্বরতা বেড়ে যায়। যার ফলে এঅঞ্চলের ফসলি জমির উর্ববরতার ক্ষমতা অনেকটাই বেশি, একারনে বাম্পার ফলন ফলে এঅঞ্চলের মাটিতে।
রৌমারী ও রাজিবপুরের আমন চাষি কৃষকরা জানান ২০ বছরের মধ্যে এবছরের মতো আমনের বাম্পার ফলন হয়নি। তারা বলছে ৬০ শতাংশের ১ বিঘা জমিতে দুই টোনের উপরেও ধানের ফলন পেয়েছি। সল্প খরচে বেশি ফসল পেয়েও লাভমান হতে পারছিনা কারন জানতে চাইলে তারা বলেন নিত্যপূন্যের দাম অনেক বেশি।
রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন ০৬ হাজার হেক্টর জমিতে এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে কৃষকরা লাভমান।
এবিষয় রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী জানান, চলতি মৌসুমে আমন চাষের লক্ষমাত্রা ছিলো ৭ হাজার হেক্টর, সেখানে লক্ষমাত্রা ছারিয়ে আমন চাষ হয়েছে ৮ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে।
তিনি আরো বলেন আমি কিন্ত ৮ হাজার ২২৫ হেক্টরের হিসাব দিয়েছিলাম, পরর্বতিতে দেখা গেছে আরো আরও অনেক জমিতে আমনের চাষাবাদ হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং ইতিমধ্যে কাটামাড়াইও শুরু করেছে। প্রতি হেক্টরে ৬ থেকে ৭ টন পর্যন্ত ধান পাবেন আমন চাষি কৃষকরা।
Comments are closed.