ইকরামুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ৪৬তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর মুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং উপজেলা চত্বরে দুটি ফল গাছের চারা রোপন করা হয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা’র সভাপতিত্বে শার্শা উপজেলা চত্তরের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৃতিচারন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল হক মঞ্জু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়ে ফেরদৌস, উপজেলা সহকারী কমিশনর (ভুমি) রাসনা শারমিন মিথী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম খান, তদন্ত ওসি তারিকুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট ঘাতকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে বাঙ্গালীর সকল গর্ব ধুলোর সাথে মিশিয়ে দেয়। যে জাতি একদিন বঙ্গবন্ধরু ডাকে যুদ্ধ করে বিজয়ী জাতি হিসাবে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি লাভ করে, ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট সেই জাতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করলো।
আমরা ধিক্কার জানায় সেই সব মির জাফর রুপি নর্দমার কিটদের। কি দুর্ভাগ্য বাঙ্গালী জাতি ! যিনি বাঙ্গালীর মুক্তির জন্য ও বিশ্বের দরবারে বাঙ্গালীকে জাতি হিসাবে প্রতিষ্টিত করার জন্য সারাটা জীবন জেল খাটলেন, অপমান সয্য করলেন সেই জাতির পিতাকেই বাঙ্গালীরই হাতে জীবন দিতে হল।
তাকে স্ব-পরিবারে এমন নির্মমতার শিকার হতে হবে তা বিশ্বাষ করতে পারিনা। তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে এমন কথা বঙ্গবন্ধুকে অনেকে জানালেও তিনি বিশ্বাস না করে একটাই কথা বলতেন, বাংলাদেশের মানুষ আমাকে হত্যা করতে পারে না। কিন্তু তাই করে প্রমান করল বাঙ্গালীরা মির জাফর-এর জাতি।