শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জমি ক্রয় করেও, জমি বিক্রেতা রেজিস্ট্রি না দিয়ে নানা ধরণের হয়রানী ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বুধবার সকালে ভুক্তভোগী পরিবারের ব্যানারে শিবগঞ্জ গৌড় প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সুমন আলী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের কানসাট বাজার এলাকার ফসিদ আলীর কাছে গত ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর .০৪৯৫ একর জমি ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করে অগ্রিম ৪ লাখ টাকা পরিশোধ পূর্বক একটি বায়নামা দলিল করা হয়। পরে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাকি টাকা পরিশোধ করে জমি রেজিস্ট্রি করে দেবে বলে বায়নামায় স্বাক্ষর করে ফসিদ আলী। ওই তারিখে ফসিদ আলীর নিকট জমি রেজিস্ট্রি চাইলে কৌশলে কিছুদিন সময় চেয়ে জমি দখল বুঝিয়ে দেন।
পরবর্তীতে বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে। এ ঘটনায় আমরা চলতি বছরের ২ এপ্রিল প্রভাষক নুরুল ইসলামের বাড়িতে সালিশ বৈঠকে ফসিদ, সুমন ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানী ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। উল্লেখ্য, এ ঘটনায় কেন্দ্র করে কানসাট ইউনিয়ন পরিষদ ও শিবগঞ্জ থানায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও সমাধান মানেননি। সর্বশেষ গত ২ মে সালিশে ১০ মে জমি রেজিস্ট্রি না দিলে ফসিদ সুমনকে দ্বিগুণ টাকা অর্থাৎ আট লাখ টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তবুও তিনি সেই সিদ্ধান্তকে অমান্য করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার জেরে গত ১৪ জুলাই রাত পৌণে নয়টার দিকে বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকার সুযোগে ফসিদ ও তার আত্মীয়স্বজন মিলে প্রায় ১৪-১৫ জন আমাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ওই রাতেই বাড়িতে বাক্সের মধ্যে থেকে দুই লাখ ১০ হাজার টাকার মূল্যের তিন ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় তারা। হামলায় তিন নারী আহত হয়।
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। তিনি আরও বলেন, চাকরিরত ভাতিজাকেও নানাভাবে হুমকি দেয়া অব্যহত রয়েছে। এ বিষয়ে ফসিদ আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যদিও শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, একাধিকবার তদন্তে সুমনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তারপরও একাধিকবার থানায় সালিশ বৈঠক হলেও ফসিদ কোন সালিশ মানেননি।
এমনকি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) রোকুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে সালিশী সিদ্ধান্ত অমান্য করে ফসির আলী। ওসি আরও জানান, সুমন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ফসিদ ও তার মেয়ে সালমা আক্তার নিপার একাধিকবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বারবার তদন্ত করেও অভিযোগের কোন সত্যতা মেলেনি।