
পরীক্ষা চলাকালে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ নিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ আর সমালোচনা করতে দেখা গেছে। অত্র বিদ্যালয়ের কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, আমরা এই স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে এসেছি। কিন্তু আমাদের অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা চলাকালে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করার স্কুলের ভিতরে অনেক মানুষের ভিড় জমে এবং মানুষের মুখের অনেক আওয়াজ হওয়ায় পরীক্ষায় বসে ঠিক মতো লিখতে পারছিলাম না। অনেক কষ্টে পরীক্ষা শেষ করে বের হয়েছি।
এদিকে উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মেয়েদের পড়াশোনা ও নিরাপত্তার করার জন্য বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছি। কিন্তু আজকে আমাদেরকে সোনামণিদের অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা চলাকালে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করেছে আমাদের বর্তমান চেয়ারম্যান। যা আমাদের হতবাক করেছে।
এব্যাপারে কানসাট ইউনিয়ন ও মাহিদুর রহমান মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম সজল বলেন, আমার বিদ্যালয়ে অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা চলামান। কিন্তু কানসাট ইউপি চেয়ারম্যান মহোদয় আমার কাছে এসে বিদ্যালয়ের কিছু অংশ ব্যবহার করার জন্য জানান। আমি চেয়ারম্যান মহোদয়ের সম্মানের জন্য বিদ্যালয়ের এক অংশ ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে। তবে, চেয়ারম্যান মহোদয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিয়েছেন বলে আমাকে জানান।
এব্যাপারে কানসাট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সেফাউল মুলক জানান, মাত্র দুটি ক্লাসের পরীক্ষা চলছিলো, এতে পরীক্ষার্থীদের তেমন ক্ষতি হবে না। যেহেতু ইউপি চত্বরে জায়গা কম, সেহেতু আমরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিয়ে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করেছি।
এব্যাপারে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হায়াত বলেন, কানসাট ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।