শুকনো ফসল হওয়ায় হতাশ কম্বোডিয়ার কৃষকরা
এই বছর বিভিন্ন ফসলের খারাপ ও শুকনো ফলনের কারণে হতাশ কম্বোডিয়ার কৃষকরা। ফসল কাটার মৌসুমে পানির অভাবে ধানের ক্ষেত শুকিয়ে যাওয়ায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। সংবাদ সূত্র: A24 News Agency
কৃষকদের মতে, গত দুই বছরে অপ্রত্যাশিত লোকসান হয়েছে। তবে তারা আশা করছে যে আগামী বছর এই বছরের তুলনায় আরও ভাল মৌসুম আসবে। পিওব কিম নামের এক কৃষক জানান, ”আমি পুরো খরা প্রত্যক্ষ করেছি। ফসল কাটার মৌসুমেও বৃষ্টি আসেনি এবং সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
হেক্টর প্রতি আমি মাত্র ৩ ব্যাগ করে ধান পেয়েছি। আমারে যদি চাল কিনে ভাত খাওয়ার টাকা থাকতো তাহলে হয়তো এতটা নিরাশ লাগতো না কিন্তু করোনা আমার পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে খুব ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।”
এছাড়াও কৃষকরা বলেছেন, ক্ষেতগুলিতে ফলন মূলত বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করে এবং ভালো বৃষ্টিপাত হলে ফসল বাড়তে শুরু করে।
এ বছর কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফলে গাছপালা পুড়ে গিয়েছিল, যার ফলে সবার প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়। আরেক কৃষক প্রিয়াম থর্ন জানান, ”এই বছরে ফসল পুুরোপুরি বৃষ্টি নির্ভর হয়ে গেছে। কয়েকমাসের বৃষ্টিতে ফসল কিছুটা বাড়তে শুরু করেছিলো কিন্তু বাড়ার মূল সময়ে এটা অনাবৃষ্টির ফলে সম্পূর্ণভাবে জ¦লে যায়। যা ফসল হয়েছে সেগুলোও ভালো হয়নি। খরচের তুলনায় এটা পুরোই ক্ষতি। ”
তবে এসব ক্ষতি ভবিষ্যতে এড়াতে নিজেদেরকেই বিকল্প পথ খোঁজার পরামর্শ দিলেন থান বানথোয়ান নামের আরেক কৃষক, ”এই বছরে আমি খুব অল্প ফসল তুলেছি। ধানের দাম খুবই কম কিন্তু সারসহ অন্যান্য সবকিছুর দাম বেশি। যদি আমরা যোগ-বিয়োগ করি তাহলে দেখা যাবে আমার কোন লাভ হয়নি।
আমাদের যদি সবসময়ই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় যেটা অনিয়মিত তাহলে হতাশ হতে হবে। এর চেয়ে আমাদের উচিত পানি দেয়ার জন্য নিজেদের উপর ভরসা করা। কারণ বন উজাড় করার ফলে সাম্প্রতিক জলবায়ু নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন হচ্ছে এর উপর ভরসা করা যায় না।”
উল্লেখ্য যে কম্বোডিয়ায় ধান চাষ জাতীয় উৎপাদনের তালিকায় প্রথম, এর আনুমানিক বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৯ মিলিয়ন টন।
Comments are closed.