শেখ জামালকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
২২তম শিরোপা ঘরে তুলতে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে হারাতে হতো আবাহনী লিমিটেডকে। সেই লক্ষ্যে সফল আকাশী-নীলরা। রোমাঞ্চ জাগানো ম্যাচটিতে শেষ ওভারে গিয়ে জয়ের হাসি হেসেছে আবাহনী। শেখ জামালকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।
অলিখিত ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচটিতে শনিবার (১৩ মে) শেখ জামালকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। যাদের কাছে গেল আসরে শিরোপা হারিয়েছিল আবাহনী এবার তাদের হারিয়েই তা পুনরুদ্ধার করল প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে সফল দলটি। এই নিয়ে ২২তম বারের মতো প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে আবাহানী। লিগটিতে অন্য কোনো দল ১০বারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ২৮২ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল। জবাব দিতে নেমে ৪ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে আবাহনী।
যদিও রান তাড়ায় যেভাবে শুরু করে আবাহনী তাতে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা গড়াবে সেটা ভাবেনি কেউ। লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাঈম। দুই ওপেনার মিলেই শুরুর ভিত গড়ে দেন। শুরুর জুটিতেই দুজন মিলে গড়েন ১৪৫ রানের জুটি। ২৭তম ওভারে এই জুটি ভাঙতে পারে শেখ জামাল। তাইবুর রহমানের বলে নাঈম ৬৮ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। ১১৩ মিনিট ব্যাট করা নাঈম ৭৯ বলে নিজের ইনিংস সাজান সমান তিনটি করে ছক্কা-চারে।
পরের ওভারেই এনামুল হক বিজয়কে হারায় আবাহনী। তিনি পড়েন আরিফ আহমেদের ফাঁদে। ফেরার আগে চারটি করে ছক্কা-চারে ৮১ বলে ৭২ রান করে বিদায় নেন এনামুল।
মিডল অর্ডারে মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকের আলি থিতু হতে পারেননি তেমন। তবে পাঁচে নেমে দায়িত্ব নেন আফিফ হোসেন। ম্যাচ জয়ের বাকি কাজ সারেন তিনিই। মাত্র ৫৩ বলে উপহার দেন ৬০ রানের দারুণ ইনিংস। তাতেই জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় আবাহনী। অধিনায়ক সৈকত করেন ২২ রান। তবে শেষ দিকে আফিফ ফিরলে রোমাঞ্চ ছড়ায় ম্যাচে। জয়ের নাগাল পেতে শেষ ওভার পর্যন্ত যেতে হয় আবাহনী। শেষ ওভারে খুশদিল শাহ ও তানজিম হাসান সাকিব মিলে দলকে এনে দেন জয়ের দুয়ারে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ২৮২ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন নুরুল হাসান সোহান। হাফসেঞ্চুরি করেন তাইবুর রহমান। ফজলে মাহমুদ ও পারভেজ রাসুলও ভূমিকা রাখেন। তবে আবাহনীর ব্যাটিংয়ের কাছে বৃথা যায় তাদের চেষ্টা। লিগ জয়ের এত কাছে এসেও শিরোপা হাতছাড়া করতে হয় শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে।