শেখ হাসিনার হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: জাতীয় সংসদে প্রথম বক্তব্যে আসাদ

0 ১৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ প্রথম বারের মত সংসদে বক্তব্য প্রদান করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সোমবার রাতে তিনি এই বক্তব্য দেন।

সংসদে এমপি আসাদ বলেন, সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে চাই, মাননীয় রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা একের পর এক বাংলা ও বাঙালীর উন্নয়নে কাজ করে নিজের নিরপেক্ষতার প্রমান বার বার দিয়েছেন। তাই তো বিগত এই ১৫ বছরে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা গোটা পৃথিবীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সম্মান অর্জন করেছেন। আজকের বাংলাদেশ সেই মহাকাশ থেকে শুরু করে নদীর তলদেশ পর্যন্ত এমন কোনো জায়গা নাই যেখানে উন্নয়ন সাধিত হয়নি।

আজকের গোটা পৃথিবী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শন নিয়ে জাতিসংঘে শেখ হাসিনার কাছে উন্নয়নের গল্প শুনতে চান। আমরা সেই জায়গাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী হিসেবে গর্বিত। বঙ্গবন্ধুর সাহসী কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই এই বাংলাদেশকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। পৃথিবীর কিছু মানুষ বলেছিল, কিছু দেশ বলেছিল এই দেশে ভোট হতে হবে গ্রহনযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেছিলেন, বাংলাদেশের ভোট অবশ্যই গ্রহনযোগ্য হবে, অবশ্যই অংশগ্রহনমূলক হবে। এখানে কোন দল আসলো কি আসলো না, সঙ্গত কারনে রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার যে বিরচিত উক্তি তা একটি রাজনৈতিক দার্শনিকের মতো বলে আমি মনে করি। আজকের এই সংসদে দাঁড়িয়ে মাননীয় স্পিকার কয়েকটি কথা বলতে চাই, এই বাংলাদেশে যখন করোনা আসলো তখন সবাই বললো কোটি কোটি মানুষ মারা যাবে।

কিন্তু শেখ হাসিনার হাত ধরে যখন করোনা ভ্যাক্সিন আসলো তখন কতই না অপপ্রচার করা হলো। সেই অপপ্রচারের পরে যখন মানুষ দলে দলে করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করেছে। বিএনপির ভাইয়েরাও বিভিন্নভাবে সেই টিকা নিয়ে নিজেদের জীবন রক্ষা করেছে। শেখ হাসিনাকে যারা মানবতা বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেন আমি এই মহান সংসদে দাড়িয়ে বলতে চাই মাননীয় স্পিকার, শেখ হাসিনার হাত ধরেই তো বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। ওই বিএনপি-জামাতের বন্ধুরা তাদের সন্তানরাও তো স্কুলে যায়। জানুয়ারি মাসের এক তারিখে নতুন বই হাতে বাড়ি ফিরে আসে তাদের সন্তানরা। হাসিমুখে আসে। শেখ হাসিনা তো সেখানে দল-মত বিবেচনা করেনি। বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছেন।

মাননীয় স্পিকার, এইভাবে যদি বলি তাহলে অনেক কিছু বলা যায়। আজকের বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানের যে প্রতিজ্ঞা ছিল বঙ্গবন্ধু তা পূরণ করতে পারেনি। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট যে নির্মমতার স্বীকার হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়েছে । বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে প্রতিজ্ঞা করেছিল, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি ঘটাবো।

সেখানে যদি জীবন দিতে হয় দেবো। সেই শেখ হাসিনার হাত ধরেই সেই বাংলাদেশে তার পিতার অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ আজ সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাত ধরেই আগামীতে এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হিসেবে আমরা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সার্বক্ষণিক তার সহযোগীতায় থাকবো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.