সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন

১৪৭

রাজশাহী প্রতিনিধি: ‘সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ (বুধবার) রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জনাব মো. জিয়াউল হক।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, কোনো বিষয়ের সার্বিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করাই দিবস পালনের উদ্দেশ্য। জন্মনিবন্ধনের গুরুত্ব সঠিক সময়ে উপলদ্ধি করা গেলে সবাই সরকারের দেয়া সুবিধাগুলো সময়মত পাবে।

তাঁরা বলেন, সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করতে হলে জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য যে, নাগরিকের অবস্থান ভেদে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ অথবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে। বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশীরা ঐ দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।

আইন অনুযায়ী জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যতীত স্কুলে ভর্তি, পাসপোর্ট ইস্যু, বিবাহ নিবন্ধন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তি, জমি রেজিস্ট্রেশন, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিকা গ্রহণ, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলাসহ অন্যান্য সেবা পাওয়া যাবে না।

শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে তার জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। সবার জন্য জন্মনিবন্ধন নিশ্চিত করতে ২০১০ সাল থেকে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়।

সভায় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।

Comments are closed.