
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মুবিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কর্মচারী কল্যান পরিষদের সাবেক সভাপতি ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ ভুঁইয়া প্রমূখ।
জানা গেছে, দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা আইন কার্যকর হয়েছে প্রায় একযুগ আগে ২০১২ সালে। কিন্তু এখনো জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জনবলকাঠামো ও নিয়োগবিধি এখনো অনুমোদন হয়নি।
দুটি পদের আপগ্রেডেশন পড়ে রয়েছে মন্ত্রণালয়ে। ফলে জেলা ও উপজেলার ডিআরআরও-পিআইওরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত আর্থিক সুবিধা। এতে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করলেও পাচ্ছেন না সামাজিক মর্যাদা। ফলে বিষয়টির সুরাহার জন্য ডিআরআরও-পিআইও এবং কর্মচারী কল্যান সমিতি কলম বিরতি ঘোষণা দিয়েছেন।
ডিআরআরও পরিষদের সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, একযুগ আগে ২০১২ সালে কার্যকর হয়েছে দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা আইন। এ আইন বলে দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদফতরের কয়েক হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করলেও পদ দুটির জনবলকাঠামো ও নিয়োগবিধি অনুমোদন এবং আপগ্রেডেশন হয়নি।
ফলে আমরা একদিকে যেমন আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি তেমন সামাজিক মর্যাদাও পাচ্ছি না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আবেদন করলেও মিলছে না সুরাহা। ফলে আমরা আন্দোলনকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবি নিয়ে ৮-১০ বার মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে এবং সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এতে ডিআরআরওদের পদ ৬ষ্ঠ গ্রেড এবং পিআইওদের পদটি নবম গ্রেডে উন্নতিকরণসহ প্রস্তাবিত জনবলকাঠামো অনুমোদনের আবেদন জানানো হয়। দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা আইন ২০১২ জনবলকাঠামো গঠনের জন্য বলা হলেও গত ১০ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
Comments are closed.