সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: রবানির ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রায় চার লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা; তবে এবার গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কায় আছেন তারা।
সদর উপজেলার তালুকদার ডেইরি ফার্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জান্নাতুল মারুফ বলেন, গত বছর কোরবানির ঈদে ৬০টি বড় আকারের গরু ঢাকায় নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি গরু বিক্রি হয়েছে। উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় বাকিগুলো ফেরত নিয়ে আসা হয়। ওই গরুগুলোই খামারে থেকে আরও বড় হয়েছে।
“গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে খরচ আরও বেড়েছে। এখনও পাইকাররা খামারে আসেননি, হাটগুলোও জমেনি। এ অবস্থায় গরুগুলোর উপযুক্ত দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় আছি। এভাবে চললে আমাদের খামার বন্ধ করে দিতে হবে।”
সদর উপজেলার পশ্চিম দিয়ার পাঁচিল গ্রামের প্রান্তিক খামারি নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, এবার তিনি দুটি গরু পালন করেছেন। বন্যার কারণে এখনও হাটগুলো জমেনি, তাই গরু হাটে নেননি। কয়েকজন ব্যাপারি বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্তু গরুর ওজন ও খাওয়ানোর খরচের তুলনায় দাম কম বলায় বিক্রি করেননি।
সিরাজগঞ্জ সদরের ঐতিহ্যবাহী কান্দাপাড়া হাটের ইজারাদার ইউসুফ আলী জানান, প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে হাট বসে। ক্রেতা-বিক্রেতা না আসায় এখনও কোরবানির পশুর হাট জমেনি।
শাহজাদপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তালগাছি হাটের ইজারাদার সাইফুল ইসলাম জানান, বাইরের ব্যাপারিরা না আসায় এখনও কোরবানির পশুর হাট জমেনি। করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে স্থানীয় মানুষের হাতে টাকা কম, তাই তারাও হাটে আসছেন না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার বলেন, এ বছর জেলার নয়টি উপজেলায় কোরবানির জন্য বিভিন্ন জাতের তিন লাখ ৯১ হাজার গরু, মহিষ ও ছাগল প্রস্তুত হয়েছে। জেলার চাহিদা পৌনে তিন লাখ। বাকিগুলো রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিন্ন এলাকার হাটে নেবেন কৃষক ও খামারিরা।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও বলেন, “ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনলাইনেও প্রচার চালানো হচ্ছে। গত বছর প্রায় ৩০ হাজার গরু অবিক্রিত ছিল। এবার আশা করছি, গতবারের মতো হবে না।
Comments are closed.