নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: সোনালী আশঁ পাট ঘরে তুলতে ব্যস্ত রাজশাহীর চাষীরা। জেলায় এবার লক্ষ্য মাত্রার চাইতে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভাল। তবে শ্রমিক সংকট আর বাজারে কমছে পাটের দাম। তাই মৌসুম শেষে লোকশান হওয়ায় দুরচিন্ত চাষীদের। প্রান্তিক চাষীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে বাজারে পাটের দাম বাড়ানোর দাবী কৃষকদের। করোনা কালীন সময়ে সরকারের সহযোগীতা কামনা করেন চাষীরা।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলায় চলতি বছরে ১৮ হাজার ৪৩ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের চাইতে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বেশী আবাদ হয়েছে। এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৮ মন হারে পাটের আবাদ হয়েছে।
চাষীরা জানান, আমরা বর্তমানে জমির পাট কাটা, জাগ দেওয়া, আশঁ ছাড়ানো, রোদ্রে শুকানোর কাজ চলছে। তবে শ্রমিক সংকটে থাকায় আমরা নিজেরাই কাজ করে ব্যস্ত সময় পার করছি।
তবে এসব কাজে সহযোগীতা করছে আমাদের পরিবারের শিশু ও নারী সদস্যরাও। অনেকে পাট বাছাই করে বারতি রোজগার করছেন। কেউ শুধু পাট কাটির বিনিময়ে পাট বাছাই করে দিচ্ছেন। এ বছর তোশা ও দেশীয়ও নানা জাতের পাট আবাদ করে ভাল আবাদ পেয়েছে চাষীরা।
কিন্তু হঠাৎ ই কমেছে দাম। তাই এবার লোকশান গুনতে হবে তাদের। পাট বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তাবে প্রথম দিকে পাটের দাম ভালো ছিলো, কিন্তু বর্তমানে কিছুটা কম হওয়ায় চাষীদের লোকশান গুনতে হচ্ছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কে জে এম আব্দুল আওয়াল জানান, বিগত বছর গুলিতে পাটের আবাদ ক্রমানয়ে কমেযাচ্ছিলো। পাটের বাজার দর কমে যাওয়ার কারনে। এখন ক্রমানয়ে পাটের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর পাটের আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে আমাদের রাজশাহীতে।
এবার সেখান থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ হাজার ৪৩ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে রাজশাহীতে। পাট এবছর ফলন ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ মন পর্যন্ত পাট ফলন হচ্ছে। পাটের বাজার দর এখন এই মুহুর্তে আড়াই হাজার থেকে ২৮শত টাকা পাটের বাজার দর পাচ্ছে চাষিরা।