সৌদির সীমান্ত খোলায় উচ্ছ্বসিত কাতারিরা

0 ৩৭৫

বিরোধ ভুলে সৌদি আরবের সঙ্গে সীমান্ত খোলায় আনন্দে মেতেছে কাতারিরা। সাংস্কৃতিক সমতার কারণে সৌদিকে নিজেদের ‘দ্বিতীয় দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে কাতারিরা। কিন্তু কূটনৈতিক লড়াই এর কারণে দীর্ঘদিন উভয়দেশের নাগরিকরা নিজের বঞ্চিত মনে করতে থাকে। সে লড়াই বন্ধের পর এবং লকডাউন শিথিলের পর সৌদিতে যাওয়ার সুযোগ পেল কাতারিরা।

সীমান্ত খুলে দেয়ার দ্বিতীয় দিনে সামারায় কাতারি স্থল ক্রসিং থেকে গাড়ি নিয়ে চালকরা সৌদি আরবের রিয়াদের ৫০০ কিলোমিটার পূর্বে সালওয়া সীমান্ত ক্রসিংয়ে পৌঁছেন। কাতারের সঙ্গে একমাত্র স্থল ক্রসিংটি ২০১৭ সালের জুনে বন্ধ করে দিয়েছিল সৌদি আরব।

মোহাম্মদ আল-মারি নামে এক কাতারি নাগরিক বলেন, কাতার থেকে সৌদিতে আসা অনেকটা নিজের দ্বিতীয় দেশে আসার মতো। যেখানে তাদের সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতিগত কোনো পার্থক্যই নেই।

ঘাহিত আল-মারি নামে আরেক কাতারি বলেন, এই যে আনন্দ, এর কোনো ব্যাখ্যা হয় না। এখানে এমন অনেক মানুষ রয়েছে, যাদের চোখে আনন্দাশ্রু রয়েছে।

সীমান্ত খুলে দেয়ার পর ১৬৭টি কাতারি গাড়ি সৌদি আরবে প্রবেশ করেছে। এদিকে দুই দেশের মাঝে এরই মধ্যে বিমান যোগাযোগও শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ যোগাযোগের মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

ইরানের সঙ্গে নৈকট্য এবং সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে মদদ দেয়ার অভিযোগে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানায় সৌদি আরব। তবে এ অভিযোগ সবসময় খারিজ করে দিয়েছে কাতার। সৌদি আরবের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসরও ভ্রমণ ও বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

গত মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) কাতারের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলো বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার চুক্তি করে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান একে ‘সংহতি ও স্থিতিশীলতার’ চুক্তি বলে মন্তব্য করেছেন। উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট গালফ কো–অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সম্মেলনে তিন বছরের এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। খবর এএফপি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.