শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি : বিয়ের ১২ বছরে স্বামী-স্ত্রী বেশ সুখেই ছিল শিল্পী রানী শর্মা। ঘরে একটি ছয় বছরের শিশু রয়েছে। হঠাৎ গত ২০১৮ সালে স্বামী নব চন্দ্র শীল বিজিবিতে চাকুরীরত অবস্থায় পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে স্ত্রীর সাথে প্রতিনিয়তই ঝগড়া বিবাদসহ নানা অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে চাকরী দেয়ার কথা বলে কৌশলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়ে বিচ্ছেদ (তালাক) ঘটায়। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে শিল্পী রানী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ে করে পিতার বাড়িতে চলে যায়। এদিকে স্বামী নব চন্দ্র শীল হয়রানি করার জন্য তার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে বগুড়া আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। স্বামীর অনৈতিক কর্মকান্ড মামলাসহ নানা হুমকী-ধামকির হাত থেকে বাঁচতে গতকাল শুক্রবার দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের রবীন্দ্রনাথ শর্মার মেয়ে অসহায় শিল্পী রানী শর্মা।
সম্মেলনে শিল্পী রানী শর্মা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ২০০৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর বগুড়ার গাবতলী উপজেলার চকসেকেন্দার গ্রামের মৃত মনি চন্দ্র শিলের ছেলে নব চন্দ্র শীলের সাথে হিন্দু ধর্মীয় বিধানমতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী নব চন্দ্র ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করলে তার পিতা মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ৫লাখ টাকা ও ৮ভরি সোনার গহনাসহ মুল্যবান আসবাবপত্র দেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে সিমান্ত কুমার স্বাধীন নামের এক শিশু জন্মগ্রহন করে। এদিকে তার স্বামী নব চন্দ্র চাকুরীরত অবস্থায় অন্য একটা মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে এবং আমি প্রতিবাদ করলে সে পুনরায় আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে এবং প্রতিদিনই আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ মারধর করে। টাকা না দেওয়ায় নব চন্দ্র আমার চাকুরী হয়েছে মর্মে তিনশত টাকার মুল্যে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে কৌশলে এভিডেভিটের মাধ্যমে তার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে কাগজ পাঠিয়ে দেয়। এ নিয়ে এলাকার মাতব্বরদের দিয়ে বিচার শালিশ করলেও তিনি ক্ষমতার প্রভাবে বিচার না মানায় এমনকি আমার শিশু সন্তানসহ আমাকে ভোরণ পোষন না করায় বিগত ২৯ নভেম্বরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা করা হয়। এদিকে নব চন্দ্র আমাকে ও আমার পিতার পরিবারের লোকজনকে উদ্দেশ্যপ্রনেদিত ভাবে হয়রানী করতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বরে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল শেরপুর থানা আমলী আদালতে মোকদ্দমা নং ৪৪৮/১৯(শের) মামলা দায়ের করে। এ মামলার দেয়া তথ্যমতে আমার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে প্রথমে কাজীপুরের সোনামুখী বাজার ও শেরপুরের রনবীরবালা ঘাট নামক স্থানে তাকে মারধর করা হয়েছে। তা আদৌ সত্য নহে। এপর্যন্ত তার সাথে কোন ঘ্টনাই ঘটেনি। মিথ্যা ও বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমি ও আমার পরিবারকে হয়রানী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে প্রকৃত মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই নব চন্দ্রের দায়ের করা মিথ্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের মতো অসহায় পরিবারকে বাঁচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পী রানী শর্মা ও তার পিতাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
Prev Post