রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলের সিট বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানিয়েছে রাকসু আন্দোলন মঞ্চসহ রাবির প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন গুলো। বুধবার (২৩ মার্চ)বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। লিখিত দাবিসমূহ সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর।
এসময় উক্ত দাবি ছাড়াও আরো তিনটি দাবি জানিয়েছে তারা, দাবিগুলো হলো ১.বৈধ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা প্রদানসহ নিরাপদ পরিবেশে হলে অবস্থানের সু-ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ২.আবাসিক হল গুলোতে রাজনৈতিক ব্লক এর নামে দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে এবং নিয়মিত হল সংসদ চালু করতে হবে। ৩. অনলাইনে প্রতিটি হলের তালিকা হালনাগাদ করতে হবে এবং নিয়ম মেনে হল প্রাধ্যক্ষদের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মজিদ অন্তর আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে (রাবি)অবাসিক হল গুলোতে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পারি করোনার পরে হল গুলোতে গড়ে ১০০-১৭০ টি করে আসন ফাঁকা হয়। হলের সিটগুলো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দখল করে নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকার বিনিময়ে সিট বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
জানা যায়, ছেলেদের ১১ টি আবাসিক হলে শূন্য হওয়া ১৫০০ এর কাছাকাছি সিটের মধ্যে ১১ শতাধিক সিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টাকার বিনিময়ে উঠিয়েছে। যা সিট ভেদে লেনদেনের পরিমান পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার টাকা। এছাড়া গণমাধ্যমে জড়িতদের বেশকিছু নাম গণমাধ্যমে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত এ সংক্রান্ত অভিযোগ স্মারকলিপি আকারে গত ২৮/০২/২২ তারিখে (রাবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা এবং প্রক্টর বরাবর প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রশাসন তিন দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও আজ প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সমস্যা সমাধানে আসেনি।
তবে উক্ত দাবিগুলো এ মার্চ মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এবার দলমত নির্বিশেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ছাত্র ঐক্যের রাবি শাখা সভাপতি মেহেদি হাসান মুন্না, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান, রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন সহ ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষার্থী।
ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি। জড়িতদের বিষয়ে ইতিমধ্যে হল প্রাধ্যক্ষদের সাথে কথা বলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা বা সমস্যা সমাধানে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেগুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।##
Comments are closed.