অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে পাইকগাছা-কয়রার বহুল প্রত্যাশিত ১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্র

0 ৩০৮

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা: অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে পাইকগাছা-কয়রার বহুল প্রত্যাশিত ১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্র। ইতোমধ্যে উপকেন্দ্রের জন্য ৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণকৃত জমি পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) জেলা প্রশাসক কার্যালয় কর্তৃক বুঝে নিয়েছে। মাটি ভরাট সহ অন্যান্য অবকাঠামোর কাজ টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে দ্রুত শুরু করা হবে। উপকেন্দ্রটি চালু হলে বিদ্যুৎ নিয়ে অত্র এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসন হবে বলে জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

 

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ নিয়ে নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে পাইকগাছা-কয়রার সাধারণ গ্রাহকরা। দীর্ঘ লাইন হওয়ার কারণে ছোট-খাটো ত্রুটি মেরামতে হিমশিম খেতে হয় বিদ্যুৎ বিভাগকে। সূত্রমতে, কয়রার বিদ্যুৎ লাইন সাতক্ষীরা থেকে সংযুক্ত এবং পাইকগাছার বিদ্যুৎ লাইন খুলনা থেকে সংযুক্ত। দু’উপজেলার বিদ্যুৎ লাইনের দূরত্ব ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। এতো দীর্ঘ লাইন দেশের আর কোথাও নাই বললেই চলে। অধিক দূরত্বের কারণে যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ বৈরী আবহাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

 

একটু বাতাস হলেই বিদ্যুৎ লাইনের ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় অত্র এলাকার গ্রাহকরা দীর্ঘদিন চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। আবার বিদ্যুৎ বিভাগের আন্তরিকতা থাকলেও ত্রুটি চিহ্নিত করে তা মেরামত করতে গিয়ে দীর্ঘ সময় চলে যায়। এতে প্রতিনিয়ত সাধারণ গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে নানা প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়।

অত্র এলাকায় কোন উপকেন্দ্র না থাকায় এ ধরণের সমস্যা দীর্ঘদিন রয়েগেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা সহ সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তি দূর করতে তৎকালীন সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের প্রচেষ্টায় অত্র এলাকায় একটি গ্রীড উপকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।

 

যেটি বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তরুজ্জামান বাবু’র প্রচেষ্টায় আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রেজায়েত আলী জানান, ইতোমধ্যে শিববাটী ব্রীজের ওপারে কাটাখালী সড়কের পাশে স্মরণখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চকবগুড়া মৌজায় ৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার অধিগ্রহণকৃত জমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়েছে।

অধিগ্রহণকৃত এ সম্পত্তি বুঝে নিয়েছেন পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পিজিসিবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শামীম ও নির্বাহী প্রকৌশলী উত্তম কুমার। ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি টাকা।

 

মাটি ভরাট ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম রেজায়েত আলী। তিনি বলেন, ১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্রটি চালু হলে বিদ্যুৎ নিয়ে অত্র এলাকায় আর কোন সমস্যা থাকবে না। সাধারণ ঝড় ও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.