শেরপুরে বাঙ্গালী নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

0 ১,৮১৭

 

শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চকখানপুর এলাকায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বাঙ্গালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ী কতিপয় ক্ষমতাসীনরা। এতে হুমকির মুখে পড়ছে নদীর তীরবর্তী গ্রামের শতশত বিঘা ফসলি জমি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শতাধিক ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে যেকোন মূর্হুতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা বিরাজমান।
এদিকে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে নদীর পশ্চিম তীরে প্রায় ২শতাধিক বিঘা আবাদী জমি ও বাড়ীঘর নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার এমন আশংকার কথাই জানিয়েছেন ওই গ্রামের ভুক্তভোগীরা। প্রভাবশালীনেতা হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের বিরুদ্ধে কোন কথাও বলতে সাহস পাচ্ছেনা।
সরেজমিনে গতকাল সোমবার (২২জানুয়ারী) দুপুরে ওই এলাকায় গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রভাবশালী শেরপুর শহর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদকগোলাম হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা গোলজার হোসেন, ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চকখানপুর এলাকায় বাঙালি নদীতে শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। শুধু ওই এলাকা নয় তিনি নদীর একাধিক পয়েন্ট থেকে বালু তোলার কাজ চালাচ্ছে। প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় সুবাদে কেউ তাদের এহেন কাজের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেনা। এ বিষয়ে গত ৯ জানুয়ারী ওই এলাকার শতাধিক গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদন সংশ্লিস্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দিলেও অদ্যবধিও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন না করায় ভাবিয়ে তুলছে সচেতনমহলকে।
এ ব্যাপারে ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে মোঃ বেল্লাল, রুবেল, কামরুল, বাচ্চু মন্ডল, নিপেন, প্রফুল্ল, শুকচাঁন, দিগচাঁন, গণেশ, উৎপল, স্বদেশসহ একাধিকরা জানান, শেরপুর পৌর আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান, প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা গোলজারসহ কয়েকজন প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আমাদের আবাদী জমি ও ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে তারা নানা হুমকী-ধামকী দিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে আরো জানা যায়, বালু তোলার বিষয়ে সরকারীভাবে কোন অনুমতি নেই বলে আওয়ামীলীগ নেতা গোলজার হোসেন মোবাইলে জানালেও তার নিয়োজিত লোকজন বালু তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিয়মান হয়।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.