অশরীরি ছোঁয়া ‘তিনাঙ্ক’ সেটে অনুভব করেছিলাম…

0 ১,০৫৩

teenankaবিনোদন ডেস্ক : তারা আছে! তারা নেই! কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। শরীরী-অশরীরি, সংস্কার-কুসংস্কারের ঘেরাটোপে বিথীন দাসের ছবি ‘তিনাঙ্ক’। এতো পর্দার কাহিনি। কিন্তু ক্যামেরার পিছনে ‘তিনাঙ্ক’ ঘিরে রয়েছে গা ছমছমে কাহিনি। সেই গল্প শোনালেন মুমতাজ…..

ছবির বড় একটি অংশের শুট হয়েছে বারুইপুর রাজবাড়িতে। সেখানে একবার নয়! দু’বার অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিল মুমতাজের। mumtaz-1নায়িকার কথায়, সব কিছু স্বাভাবিক। শুটিং হচ্ছে জমিয়ে। হঠাৎ ডিমারের আলো আপ-ডাউন করতে শুরু করে। ফলে শুটিংয়ের অসুবিধা হচ্ছিল। পরিচালক একজনকে ডিমারটা দেখতে বললেন। লোকটি যখন ডিমারের কাছে গেলেন, সঙ্গে সঙ্গে লাইট বাস্ট করে। অথচ এমন হওয়ার কোও কারণ ছিল না….আমরা সবাই বেশ অবাক হয়েছিলাম।

গভীর মুখে বলে চললেন মুমতাজ। জানান, এরপর যে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেটা পুরোপুরি আমার সঙ্গে। হয়ত হতে পারে আমার ভুল। আসলে ‘তিনাঙ্ক’-এর চরিত্রে আমি নিজেকে খুব ইনভলব করে ফেলেছিলাম। একদিন সেটে বসে স্ক্রিপ্টটা দেখছি। হঠাৎ পাশে একটা ছায়া দেখতে পেলাম। আশ্চর্যের পাশে কেউ ছিল না। অদ্ভুত ভাবে সেদিন আমার এক বন্ধু তাঁর ফ্ল্যাটে অস্বাভাবিক কারও উপস্থিতি বুঝতে পারে!

mumtaz-2আঠেরো শতকের শেষভাগ থেকে ছবির সময় বেছে নিয়েছেন পরিচালক। যে সময়ে বাংলার মাটিতে নানা পরিবর্তন ঘটছে। পিরিয়ড ফিল্ম ‘তিনাঙ্ক’। এ ছবিতে রয়েছে তিন নারীর গল্প। যেখানে সোহিনী (মুমতাজ সরকার)সাংবাদিক সোহিনী। গবেষণার খাতিরে বিভিন্ন দশকে মেয়েদের অবস্থান নিয়ে কাজ করেন তিনি। সেই সূত্রেই জানতে পারেন কাদম্বীর কথা। আঠেরশো শতকের শেষভাগে বাংলার নবদ্বীপের এই নারী নিজেকে শিক্ষিত করে তুলেছিলেন। তাঁর আলোকপ্রাপ্তিতে সহায় হয়েছিলেন তাঁর স্বামী মৃণাল। কিন্তু মৃণালের মৃত্যুর পর গ্রামে ফিরে গেলে, সংস্কার জালে জড়ানো সমাজ কাদম্বীকে মেনে নিতে পারেনি। তাকে ডাইনি সাব্যস্ত করেছে। ঠেলে দিয়েছে মৃত্যুর দিকে। কিন্তু কাদম্বী মরে প্রমাণ করেছিল যে সে মরেনি। সে ফিরে এসেছিল আর এক সময়ে আর এক রমণীর মাধ্যমে, তার নাম নলিনী। যেখানে কাদম্বীর চরিত্রে রয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অন্যদিকে নলিনীর ভূমিকায় দেখা যাবে বিদিতা বাগকে।

তিন সময়। তিন নারী। তাঁদের সঙ্গে আবহমান ঘটনাবলী। পরিচালক বিথীন দাসের প্রথম বাংলা ছবি ‘তিনাঙ্ক’-। যা তিন নারীর এক আকাশ, এক আত্মা কাহিনি নিয়ে পর্দায় মুক্তির অপেক্ষায় । খবর কলকাতা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.