আটঘরিয়ায় নলকূপ মিস্ত্রি পেশায় কাজ করেন একই গ্রামের ১৫০ যুবক

১৬৫
মাসুদ রানা, আটঘরিয়া( পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার আটঘরিয়ায় নলকূপ মিস্ত্রি পেশায় কাজ করেন একই গ্রামের ১৫০ যুবক। আটঘরিয়া উপজেলার শ্রীকান্তপুর -পুকুরপাড়া গ্রামের দেড়’শ যুবক টিউবল মিস্ত্রি পেশায় কাজ করেন।
জানা গেছে,  তাদের মধ্যে কয়েকজন উপজেলা পযার্য়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রথমে কাজ শুরু করে। তার পর এইসব মিস্ত্রিদের সঙ্গে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৫০ জন যুবক বর্তমানে টিউবয়েল বসানোর কাজ করছেন।
 তারা জানান, আমরা মাঠে কাজ করতে পারি না। জীবন এবং জীবিকার তাগিদেই এমন পেশা বেছে নিয়েছি। এখন আমাদের গ্রামের ছোট বড় সবাই এই পেশায় নিয়োজিত। আমরা ভোর ছয়টা -সাতটার পর থেকেই টিউবয়েল বসানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পরি।
গাড়িতে করে মালামাল লোড দিয়ে নিজ জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা -উপজেলার শহর ও গ্রাম গুলোতে কাজ করে থাকি। আমাদের কাজ অত্যান্ত কঠিন ও জটিল কাজ। কিন্তু কাজ হিসেবে তেমন মুজুরি পাই না। সাড়া দিনে চার থেকে পাঁচ’শ টাকার কাজ করি।
 নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।  কলমিস্ত্রি হেলাল জানান, আমরা -আটঘরিয়া, পাবনা -সদর, ঈশ্বরর্দী সূজানগর, বেড়া,সাথিয়া, চাটমহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর,
আমিনপুর, জেলার বাহিরে রাজশাহী, নাটোর, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, খুলনা, রংপুর, বরিশালসহ দেশের সকল জেলায় ফোন কন্ট্রাকের  মাধ্যমে কাজ করে থাকি। মিস্ত্রি সাজিদুল জানান, আমরা বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করে থাকি।
এবার সরকারি আশ্রায়ণ প্রকাল্পেরও কিছু কাজ করেছি। মিস্ত্রি শোলক জানান, আমরা  সাবমার্কসিবুল, মিনিতারা,সুপার তারা,টিউবয়েল,ডিপকলসহ শেলো মেশিন বসানোর কাজও করে থাকি।
মিস্ত্রি এলিন মোল্লা জানান, আমরা এক’শ থেকে একহাজার ফুট গভীর পর্যন্ত নলকূপ বসানোর কাজ করে থাকি। আমাদের পড়ার উল্লেখযোগ্য মিস্ত্রিরা হলো- হেলাল, সাজিদুল,শোলক, আজমত,দুলাল,সেলিম, আলামিন ইলিয়াস, ফারুখ,রবিউল,আসলাম,আসাদ,এলিন,
আমিরুল, কামাল,ফরহাদ,মুহিদুল, আওশান,রবিউল ইসলাম,  মিলনসহ প্রমুখ এই পেশায় নিয়োজিত।

Comments are closed.