উগ্র সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটন করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ : ওবায়দুল কাদের

১৪৬
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উগ্র সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটন করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আজ বুধবার বনানীতে জাতীয় তিন নেতার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উগ্র সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটন করাই এখনকার চ্যালেঞ্জ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সব গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে এক হয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মূলোৎপাটন করতে হবে। তিনি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখতে সবাইকে ঐক‌্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

১৯৭৫ সালের আজকের দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী এম. মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রী এ এইচ. এম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের পর ৩ নভেম্বর মানবসভ‌্যতার ইতিহাসে আরেকটি বর্বরোচিত, নৃশংস হত‌্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। নিরাপদ স্থান বলে পরিচিত কারাগার, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চারজন বিশিষ্ট সংগঠনক বঙ্গবন্ধুর সহযোগীদের সেদিন নির্মমভাবে হত‌্যা করেছিল।

‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে নেতৃত্বশূন‌্য করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা কারাভ‌্যন্তরে হত‌্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছিল’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এরপর থেকে বাংলাদেশে হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতিক ধারা চলতে থাকে। চিরাচরিত মুক্তিযুদ্ধের ধারা থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনা হয় এবং ২১ বছর ধরে এ ধারায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চলতে থাকে।’

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মাধ‌্যমে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির গোড়াপত্তনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতা হত‌্যাকাণ্ডের মধ‌্য দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষের চারা রোপিত হয়, সে গাছের ডালপালা বিস্তৃত হয়েছে অনেক দূর। তাদের শেকড়ও চলে গেছে আমাদের মাটির অনেক গভীরে।’

‘আজকের দিনে প্রধান শত্রু হচ্ছে জাতির সাম্প্রদায়িকতা। আমাদের অভিন্ন বিপদ সাম্প্রদায়িকতা। কাজেই এ অপশক্তিকে রুখতে হবে। সেজন‌্য অসাম্প্রদায়িক দেশপ্রেমিক সরকারকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষকে উৎপাটনে ঐক‌্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস‌্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, যুগাম সাধারণ সম্পপাদক মাহবুব ইল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments are closed.