একজনই দুই কলেজের অধ্যক্ষ

২৬৯

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া এবং দুর্গাপুর উপজেলায় একজন শিক্ষক একসঙ্গে দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাধারে দুইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে গিয়ে ওই শিক্ষক ঠিকমতো উপস্থিত এবং ক্লাস নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধনপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফিরোজ মান্নান। তার বাড়ী দুর্গাপুর উপজেলায়। তিনি সাধনপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজে ২০১৫ সালে অক্টোবর মাসে ২৯ তারিখে যোগদান করেন। তিনি বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল পর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের বেতন-ভাতা সুবিধা ভোগ করছেন।

অপরদিকে দুর্গাপুর উপজেলার দেবীপুর বিএম কলেজেও তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন। সেই কলেজ ২০১৯ সালে এমপিও হয়েছে। একসাথে দুইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে গিয়ে ওই শিক্ষক ঠিকমতো উপস্থিত এবং ক্লাস নিতে পারছেন না বলে জানান এলাকাবাসী। এছাড়া তিনি চলতি বছরে শিক্ষা সপ্তাহে দুর্গাপুরে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে একই সাথে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার বিষয়টি জানার পরে সেইটি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সাধনপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজ এবং দুর্গাপুর উপজেলার দেবীপুর বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফিরোজ মান্নান বলেন, একই সাথে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকার নিয়ম নাই। তবে আমি সাধনপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজ চাকুরী করি। আর দেবীপুর বিএম কলেজ আমি প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে দুর্গাপুরে আবেদন করেছিলাম। তবে কে বা কাহারা অভিযোগ দেওয়ায় আমি অংশগ্রহণ করতে পরিনি। আর আমি বর্তমানে দেবীপুর কলেজের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাঃ জাহিদুল হক জানান, শিক্ষক হিসেবে মোঃ ফিরোজ মান্নান আমাদের উপজেলায় তার বেতন হয়নি। আর হবেও না। তাই এবিষয়ে মন্তব্য নাই। তবে দুর্গাপুরের শ্রেষ্ট শিক্ষকের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ায় সেটা বাতিল হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা আখতার জাহান জানান, মোঃ ফিরোজ মান্নান আমাদের উপজেলার বেতন ভূক্ত শিক্ষক। তাই তিনি অন্য কোথাও চাকুরী করতে পারেননা। যদি করেন তাহলে নিয়ম বর্হিরভূত কাজ করছে। বিষয়টি আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

Comments are closed.