ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই বিশ্বকাপের দল গঠন নিয়ে আলোচনা

১৯৯
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ছবি : সংগৃহীত

এ বছর আক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আসরটির কথা মাথায় রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। এই সিরিজ দেখে দল গঠনেও অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।

তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি থেকে ছয় মাসের বিরতি নিয়েছেন। শেষ মুহূর্তে তাঁর মন পরিবর্তন না হলে বিশ্বকাপে তাঁর খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিশ্বকাপে অংশ নেননি তিনি। অন্যদের সুযোগ দেওয়ার জন্য টুর্নামেন্টে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

সেই সময় তামিমের বদলি হিসেবে খেলেছিলেন নাঈম শেখ। ফর্ম না থাকায় উইন্ডিজ সফর থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। গত বছর বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তিনটি ভিন্ন কম্বিনেশন ব্যবহার করে শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ ছিল ৪০ রান।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ যে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে তাতে তিনটি ভিন্ন জুটি খেলেছে। নাঈম ও মুনিম শাহরিয়ার দুটি ম্যাচ খেলেন। নাঈম ও টেস্ট স্পেশালিস্ট সাইফ হাসান দুটি ম্যাচে ওপেন করেন। অন্য ম্যাচে নাঈম ও নাজমুল হোসেন ব্যাটিং ওপেন করতে নামেন। এই পাঁচটি ম্যাচে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ ছিল ১৭ রান।

দারুণ ফর্মে থাকা এনামুল হককে সাদা বলের বাংলাদেশ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। লিটন দাস বা মুনিম শাহরিয়ারের মধ্যে একজন ওপেন করতে পারেন তাঁর সঙ্গে।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স মনে করেন, বিশ্বকাপের আগে থিতু হওয়ার জন্য তাদের যথেষ্ট সময় থাকবে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দলে বেশ কয়েকজন নতুন খেলোয়াড় আছে। আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপে ভালো করতে ভালো একটি দল গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। বিশ্বকাপের জন্য দল গঠন করতে আমরা পর্যাপ্ত সময় পাব।’

‘আমি মাত্র দুটি টি-টোয়েন্টি দেখেছি, তাই ব্যাটিং সম্পর্কে মতামত দেওয়ার মতো যথেষ্ট সময় হয়নি। দলে কিছু ভালো খেলোয়াড় আছেন। এই তিনটি ম্যাচ দেখে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।’

Comments are closed.