কম্বোডিয়ার স্বর্ণ শোধনাগারগুলির কারণে কৃষি জমি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রেহ ভিহার স্থানীয়রা

১৯০

দূষিত হচ্ছে জল কম্বোডিয়ার প্রেহ ভিহিয়া প্রদেশের গ্রামবাসীরা কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে তাদের জমি স্বর্ণ শোধনাগারের জন্য দখল নেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলি সতর্ক করেছে যে বিদেশী কোম্পানির সোনার খনিগুলি থেকে ধোঁয়া এবং বিষাক্ত বাতাস নির্গমন অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। তারা কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে গ্রামের খালে এবং অন্যান্য জল সম্পদগুলিতে রাসায়নিক পদার্থ প্রবেশ করতে দেওয়ার অভিযোগ করে৷ সূত্র: A24 News Agency

একজন প্রবীণ গ্রামবাসী বলেন, বিষাক্ত পানি শুধু মানুষ নয়, পশুদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। মিঃ টায় চেং নামের গ্রামের এক শিক্ষক বলেন, লোকেরা ২০০৩ সাল থেকে এই কৃষিজমি দখল করে এখানে বসবাস করছে আর সোনার খনির কোম্পানি ২০১৫ সালে এখানে এসেছিল। ডেলকম কম্বোডিয়া পিটিই লিমিটেডকে যে পরিমান জমিতে বিনিয়োগ করার অধিকার দিয়েছে বর্তমানে কোম্পানিটি তাঁর কয়েকগুন বেশি জমি দখল করে আছে। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে ৬১ হেক্টর জমি দখল করেছে। সেগুলোর মধ্যে মোট ৬১ হেক্টর জমির জন্য ১১ হেক্টর কৃষিজমি এবং আরও ৫০ হেক্টর রোমডেং গ্রামবাসীর সংরক্ষিত বন রয়েছে।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনঃ https://youtu.be/Wcjhhe26jtM

“ জনাব টায় চেং আরও বলেন, “এই দুটি কোম্পানি যে জমি সম্প্রসারিত করেছে তা রোমডেং গ্রাম, ট্রাপেয়াং টোন্টুম গ্রাম, স্বে দামনাক গ্রাম নামে তিনটি গ্রামের গ্রামবাসীদের কৃষিজমি এবং আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কোম্পানিটি প্রচুর রাসায়নিক ব্যবহার করে যা রাতে বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত করে এখানকার পরিবেশকে প্রভাবিত করে। আগে রাত- দিন উভয় সময়ই এবং বৃষ্টি হলে গ্রামবাসীরা খাওয়ার জন্য মাছ পেত কিন্তু গত তিন বছর ধরে মাছ নেই, এমনকি ব্যাঙের বাচ্চাও নেই। কোম্পানী নির্বিচারে বন ধ্বংস করছে, চাষের জন্য মানুষ হয়ত গাছ কাটতে পারে, কিন্তু কোম্পানী তাদের কাজের জন্য সমস্ত গাছ কেটে ফেলছে, এমনকি ছোট গাছও।

অধিকার গ্রুপ অ্যাডহক -এর প্রাদেশিক সমন্বয়কারী মিঃ লর চ্যানও সোচ্চার এর বিরুদ্ধে, “কোম্পানী জমি দখল করে এমনকি গ্রামবাসীদেরও জমি চাষাবাদ করতে নিষেধ করে দেয় যদিও তাদের জমি বৈধ। আমি লক্ষ্য করেছি, সম্প্রতি সোনার খনির কোম্পানি আরও ২০টি পরিবারের জমি দখল করে নিয়েছে। আর কোম্পানির লোকজনের জমি দখলের ঘটনা এই এলাকায় নিয়মিত ঘটনা, এটা পরের দিন ওই এলাকায় এবং অন্যান্য এলাকায়ও চলতে থাকে।

সুতরাং, আশেপাশে বসবাসকারী লোকেরা তাদের প্রভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্বর্ণ খনির কোম্পানিগুলো রাসায়নিক ব্যবহার করে পরিবেশের ক্ষতি করছে। অতীতে, কোম্পানীটি বর্জ্য রাসায়নিক নিকটবর্তী খালের দিকে দিয়েছিল, যা মানুষের ব্যবহারযোগ্য পানির পাশাপাশি পশুদের স্বাস্থ্যও বিপন্ন করেছিল।“ মিঃ লর চ্যান আরও বলেন,“আমরা স্বীকার করছি যে প্রতিটি উন্নয়নের একটি প্রভাব আছে কিন্তু এখানে যে প্রভাব পড়ছে তা আমাদের জাতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।”

Comments are closed.