কম্বোডিয়ার সিহানুকভিলে অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ শেষ করতে চীনাদের প্রতি অনুরোধ স্থানীয়দের

২০৫

২০১৫ এবং ১৬ সালে চীনা বিনিয়োগ ও নির্মাণের বিশাল ঢল নেমেছিল কম্বোডিয়ার প্রধান উপকূলীয় শহর সিহানুকভিলে, যা নতুন অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং এবং ক্যাসিনোগুলির সাথে শহরটিকে একটি নতুন মাত্রা এনে দিয়েছিলো। কিন্তু এই নির্মাণ ২০১৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়, যখন এক লক্ষেরও বেশি নাগরিক চীনা নাগরিক যারা সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন তারা দেশে ফিরে যান।সংবাদ সূত্র: A24 News Agency

সিনা নামের এক সড়ক নির্মাণ শ্রমিক এ নিয়ে তুলে ধরেন তার বক্তব্য, ”আমি জানি না চীনারা একটা বিরতি নিতে কিছুদিন কাজ বন্ধ করে রেখেছে কিনা কিন্তু আমি দেখেছি বেশিরভাগ ভবনেই ’নির্মাণ কাজ স্থগিত’ লেখা রয়েছে। আমি বলতে চাই যে, সিহানুকভিলে আধুনিক ভবন রয়েছে কিন্তু সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা ময়লার কারণে এটাকে সুন্দর দেখায় না।”

আরেক সড়ক নির্মাণ শ্রমিক স্যানিও চীনাদের প্রতি জানান একই রকম আবেদন, ”সিহানুকভিলে যারা বিনিয়োগ করেছিলো সেসব চীনাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, তারা যেন এখানে এসে নির্মাণ প্রকল্পগুলো শেষ করে। শুধুমাত্র অর্ধেক নির্মাণ করে ফিরে যাওয়া নয় কারণ এটি খুব বিশ্রী লাগে এবং মনে হয় প্রাচীনকালের ধ্বংসাবশেষ।” এদিকে, এমন অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ করায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও।

খাদ্য বিক্রেতা চানলিক জানান, তিনি চান একজন নাগরিক হিসেবে চীনারা ফিরে এসে নির্মাণ প্রকল্পগুলো শেষ করুক। কারণ যখন নির্মাণ চলছিল, তখন খাবার বিক্রি করা তার জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তার মতে অসমাপ্ত কাজগুলো শহরটিকে ভূতের শহর বানিয়ে রেখেছে, ”যদি তারা বিল্ডিংগুলি শেষ করে তবে এটি সুন্দর দেখাবে কিন্তু তারা এটিকে এভাবে রেখে দিয়েছে।

সত্যি কথা বলতে, কোভিডের সময়ে যখন আশেপাশে ঘুরছিলাম, তখন আমার মনে হয়েছিল এটি একটি ভূতের শহর। বিল্ডিংগুলো অসমাপ্ত হওয়ার কারণে দেখাচ্ছিল ভূতের সিনেমার মত, ঠিক যেমন আমরা ভূতের ছবিতে দেখি। তাই, আমি মনে করি চীনাদের উচিত তাদের বিল্ডিং শেষ করতে আসা।”

চীনারা অনেক অসমাপ্ত নির্মাণ প্রকল্প রেখে গেছে যা ’কংক্রিট ব্লক’ নামের এ শহরের সৌন্দর্য বিনষ্ট করে আবর্জনায় পরিণত করেছে। কোভিড মহামারী প্রায় শেষ হয়ে আসায় স্থানীয় অধিবাসী খেমারদের আশা চীনারা তাদের অসমাপ্ত প্রকল্পগুলি শেষ করতে সিহানুকভিলে ফিরে আসবে এবং শহরের সৌন্দর্য ও জাঁকজমক পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে কাজ করবে।

Comments are closed.