কাবুলে এয়ারক্রাফট ও অস্ত্র অকেজো করে রেখে গেছে মার্কিন সেনারা

১৯৩
কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার আগে সেখানে থাকা এয়ারক্রাফট, সাঁজোয়া যান ও উচ্চ প্রযুক্তির রকেট ডিফেন্স সিস্টেম অকার্যকর করে রেখে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। ছবি সংগৃহীত

কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার আগে সেখানে থাকা এয়ারক্রাফট, সাঁজোয়া যান ও উচ্চ প্রযুক্তির রকেট ডিফেন্স সিস্টেম অকার্যকর করে রেখে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।

সোমবার আফগানিস্তানের রাজধানীর স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ সেনাদলকে নিয়ে কাবুল ছেড়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক পরিবহন বিমান।

এরপর মিশন কমান্ডার জেনারেল কেথ ম্যাকেনজি পেন্টাগনের এক ব্রিফিংয়ে জানান, মার্কিন সেনারা কাবুল বিমানবন্দরে রয়ে যাওয়া ৭৩ এয়ারক্রাফট, ৭০টি সাঁজোয়া যান এবং ২৭টি হামভি গাড়ি ‘অকার্যকর’ করে রেখে গেছে।

তালেবানরা যেন এগুলো ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই এমনটি করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

‘ওইসব এয়ারক্রাফট আর কখনোই উড়ানো যাবে না। কেউ কখনোই সেগুলো চালাতে পারবে না,’ বলেছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের প্রতিবেদকের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার পর তালেবান যোদ্ধাদের কাবুল বিমানবন্দরের একটি হ্যাঙ্গারে প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারক্রাফটগুলো পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।

মার্কিন সেনারা বিমানবন্দটিতে মোতায়েন করা উচ্চ প্রযুক্তির রকেট ডিফেন্স (সি-আরএএম) সিস্টেমও অকার্যকর করে রেখে গেছে। এই সি-আরএএম সিস্টেম সোমবার কাবুল বিমানবন্দরে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) রকেট হামলা প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।

এর আগে তালেবান যোদ্ধাদের যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিভিন্ন সামরিক যান ও অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ওইসব সামরিক যান ও অস্ত্র আফগান সামরিক বাহিনীকে সরবরাহ করেছিল ওয়াশিংটন, কিন্তু ওই বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করার পর তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলো তালেবান যোদ্ধাদের হাতে চলে যায়।

Comments are closed.