কুড়িগ্রামের রৌমারী আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কৃষকের মুখে হাসি

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারীতে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষক। সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ ফসলী জমির মাঠ সোনালী আমন ধান সবুজের সমারোহে ভরে গেছে। অতি ঝড়বৃষ্টি ও বন্যা না হওয়ায় উচুনিচু দোলা সকল জমিতে রোপন করা হয়েছে রোপা আমন ধান। প্রাকৃতিকভাবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কৃষক তাদের ফসলী জমি পতিত রাখেননি। অন্যান্য বছর ঝড় বৃষ্টি অকালে বন্যা নানা দূর্যোগের কারণে বারবার রোপা আমন ধান নষ্ট হলেও এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী জমিতে রোপা আমনধান চাষ হয়েছে।
এ অঞ্চলে সাধারণত ব্রহ্মপুত্র নদের ও পাহাঢ়ি ঢলের তোড়ে রোপা আমন চাষ ব্যাহত হয়। ব্রহ্মপুত্র নদের ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের প্রবেশ মুখে শক্তিশালী কোন বাঁধ না থাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি ও পাহাড়ি ঢল নেমে আসলে অতি সহজে কৃষকের রোপা আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হয়ে যায়। এমন দুর্যোগে রৌমারীর কৃষকের প্রতি বছরের ধারাবাহিক রুটিন । কিন্ত এবছর প্রকৃতি সহায় হওয়ায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি ও বন্যা না হওয়ায় রৌমারীর ইতিহাসে এই প্রথম আমনধান রোপনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে ব্যাপক আমন চাষ হয়েছে। এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল কাইয়ুম চৌধরী বলেন , আল্লাহর রহমতে এবছর রৌমারীতে ব্যাপক রোপা আমন চাষ হয়েছে। বিগত ৫০ বছরেও এমন রোপা আমন ধান চাষ হয়নি। প্রতিবছরের ন্যায় আমাদের রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ হাজার ৩ শত ২৫ হেক্টর। সেখানে বন্যা ও অতি বৃষ্টি না থাকায় কৃষক অতিরিক্ত ১ হাজার ৫শত ৭৫ হেক্টর রোপা আমনধান চাষ হয়েছে। সব মিলে রৌমারীতে ৯ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে আমনধান চাষ হয়েছে। সরেজমিন ফসলী জমির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, রৌমারীর ৬টি ইউনিয়নে বিনা ১৭,৭,ধানী গোল্ড,ব্রি ধান ৭১,৮৭,৮২সহ দেশী জাতের নানা নামীয় ধান চাষ হয়েছে। এনিয়ে সরেজমিনে লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মাজহারুল, জয়নাল, সোনা মিয়া, খেয়ারচর গ্রামের বাচ্চু মিয়া, রহিম, আনোয়ার, যাদুরচরের মতি, জাহাঙ্গির, মির্জাপাড়ার গ্রামের আব্দুস ছবুর, সিরাজুল,হাশেমসহ অনেকে বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় রৌমারীতে শত বছরের শ্রেষ্ট রোপা আমন চাষ হয়েছে। আল্লাহর রহমতে প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছে তারা।