কুড়িগ্রামের রৌমারী কিসের লকডাউন সামনেই ঈদ মানছে না কেউ করোনা পজিটিভ ২০ জন

0 ২১৬

মাজহারুল ইসলাম, (রৌমারী কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: করোনা মহামারিতে কচুর পাতার পানির মতো টলমল আতংকে সারাদেশ রৌমারীর মানুষ ভয় করেনা পজিটিভ আক্রান্ত ২০। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরসহ এদুটি উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছেন সরকার। এদিকে করোনা সংক্রমণ স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুরসহ দুই উপজেলার খেটে খাওয়া অসহায় হাজারো মানুষ।

রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ গুলোর দাবি সামনেই ঈদ ঘুনিয়ে আসছে।এদিকে সরকার লকডাউন দিয়েছে ছোট বাচ্চারা এসব কিছই বুঝেনা,তাদের ঈদ সামগ্রী যেভাবে হোক তাদের সময় মতো।

ঈদের নতুন জামা কাপুর দিতে না পারলে বেচে থাকার চেয়ে মোড়ে যাওয়াটাই ভালো। কিসের লকডাউন এমনটাই বলছেন অসহায় প্রকৃতির দিনমজুর মানুষ গুলো। কারন নুন আনতে পানতা ফুরিয়ে যায়,এদিকে ১ জুন থেকে শুরু করে ৭ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছেন সরকার। সেটি কিন্তু শেষ হতে না হতেই আবারও কিন্তু বাড়ানো হয়েছে লকডাউন।

ঈদের সময় এসেছে ছেলে মেয়েদের নতুন জামাকাপড় না দিতে পারলে গলায় ফাস নিয়ে মারা যাবে অনেকেই।এইকারণে করোনা ভাইরাসের ভয় ভিত্তি আমাদের মতো গরিব মানুষের নেই। তারা আবেগের সাথ বলছে করোনা ভাইরাসে যদি মারা যাই তাহলেও ভালো, বেচে থেকে ছেলে মেয়েরা অন্যদিকে চেয়ে থাকবে এটা চাইনা। উপজেলার সারা এলাকা ঘুরে একই ধরনের ভাষা বলছে রৌমারীর মানুষ।

একারণে রৌমারীর শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ করোনা ভাইরাসের ভয় না করে মাস্ক ছাড়াই পথে ঘাটে ওপেন ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। লকডাউন বাস্তবায়নের এবিষয় পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট চেষ্টা করলেও কিন্তু পুলিশ সুত্রে জানা গেছে অসম্ভব। অপরদিকে রৌমারী হাসপাতালের বরাত দিয়ে জানা গেছে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জন। এছাড়াও আরো সংক্রমণ অনেকেই রয়েছে তারা কিন্তু হাসপাতালে আসছেন না চিকিৎসা নিতে।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা হাসপাতালের ডাঃ আসাদুজ্জামান জানান ১৫ জুন থেকে এপর্যন্ত ২৬ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছেনা এবং জনগন লকডাউন মানছেনা । এবিষয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি ধরনের ব্যবস্থা নিবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ বলেন আমি সবসময়ই জনগনকে সচেতন হওয়ার পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছি। রৌমসারী থানার ইনর্চাজ মোনতাছের বিল্লাহ তার কাছে লকডাউনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সবময় লকডাউন বাস্তাবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.