কুড়িগ্রামের রৌমারী বিদ্যুৎয়ের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট গ্রাহকরা

১৮৩

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে বিপাকে এলাকাবাসি। গত প্রায় মাসখানেক ধরেই বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয় সন্ধ্যার পর লোডশেডিং শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎতের খবর থাকে না। এতে ভ্যাপসা গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। অস্বাভাবিক ও অসহনীয় লোডশেডিংয়ে রৌমারীর সাধারণ মানুষের নার্ভিশ্বাস হয়ে উঠেছে।

নাকাল হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আর নিদারুণ এই কষ্ট বর্ণনাতীত। এমন বিদ্যুৎ সংকট এর আগে কখনোও দেখেনি এমনটাই জানিয়েছে গ্রাহকরা। যতই দিন যাচ্ছে বিদ্যুৎ সংকট ততই বাড়ছে। কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় গত কয়েকদিন থেকে চাহিদামত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছেন না জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এতে করে অফিস আদালতের কার্যাক্রম পরিচালনায় চরম স্থবিরতা নেমে এসেছে।

জেনারেটর, আইপিএস ও ইউপিএস কোন কিছু দিয়েই অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, দোকানপাট ও বাসাবাড়ি স্বাভাবিক ভাবে চালানো যাচ্ছে না। নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজের মাংস, মাছ, শাকসবজি ও বিভিন্ন প্রকার খাদ্যসামগ্রী। দিনে রাতে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া চলছে প্রতি দুই ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট । গ্রামাঞ্চলে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এদিকে ৩৮ ডিগ্রী তাপমাত্রার সাথে পাল্লা দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা চলছে লোডশেটিং।

অপরদিকে গরমের কারনে শিশুরাও বিছানায় ঘুমিয়েও থাকতে পারছেনা। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। রৌমারী এলাকার মুরগী ব্যবসায়ী ফজলুল হক গণমাধ্যমকে বলেন রৌমারীতে এমন বিদ্যুতের লোডশেডিং এর আগে কখনো হয়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন, রোদের প্রচন্ড তাপে কোন মতেই ভালো থাকতে পারছিনা। অপর দিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারনে পল্লী বিদ্যুতের সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি।

পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস,রৌমারী শাখার ডিজিএম মো, মেহেদী মাসুদ জানান, রৌমারী ও রাজিবপুর দুই উপজেলায় দৈনিক বিদ্যুতের মোট চাহিদা রয়েছে ২১ মেঘাওয়াট। কিন্তু আমরা পাচ্ছি ৬/৭ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ। এদিয়ে কি করে সম্ভব গ্রাহকদের চাহিদা মিটানো।

Comments are closed.