কুড়িগ্রামের রৌমারী ভারত থেকে বয়ে আসা দর্নি নদীর থাবায় হাড়িয়ে যাচ্ছে অসহায় মানুষের বসৎবাড়ী

১৭১

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারীর জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ভুক্তভোগি সীমান্তবাসির নাভিস্বাস। জনপ্রতিনিধিরা ভোটের সময় অনেক সুন্দুর সুন্দুর কথা বলে তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর কোথা কে হাড়িয়ে গেলো এটি দেখার সময় থাকে না এমনটাই বলছেন নদীঘেষা মানুষ গুলো।

ভারত থেকে বয়ে আসা দর্নি নদীর আঁকাবাকা চলন যেন সীমান্ত বাসির কপাল পুড়ছে। যুগযুগ ধরে এমন কি শত বছর পেরিয়ে রৌমারী উপজেলাধীন বারবান্দা বড়াইবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ঝ্ঊাবাড়ি, চুলিয়ারচর, নামা বকবান্দা, খেয়ারচর, লাঠিয়াল ডাঙ্গা হয়ে আঁকাবাকা পথে গ্রামের পর গ্রামের বুক চিড়ে মিশে গেছে ব্র্হ্মপুত্র নদে সঙ্গে।

প্রবিছর বর্ষার আর্বিভাবে বৃষ্টি ও পাহাঢ়ী ঢলের প্রবল চাপে শুরু হয় ধ্বংস লিলা। ভাঙ্গতে থাকে ফসলী জমি বাপ দাদার বসৎ ভিটা। তার সঙ্গে জরিয়ে আছে মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা অবকাঠামো। নদীটির মনগড়া ভাঙ্গনের লাগাম টেনে ধরতে শত বছরেও সরকারি ভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।

প্রতিবছর ইড়িবোরো মৌসুমে ওই অঞ্চলের মানুষ দর্নি নদীর তান্ডবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ওই ভুক্তভোগি এলাকাবাসিদের প্রানের দাবী দর্নি নদীর পার সংরক্ষনের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধ করা হউক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই অঞ্চলের মাটি লাল ও শক্ত হওয়ায় প্রবল ¯্রােতেও গ্রামের পর গ্রাম ও ফসলের মাঠ বিলিন হচ্ছে। তবে সরকারি ভাবে দর্নি নদীর পাড় মেরামত করলে ওই অঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার নদীর ভরাল গ্রাস থেকে রক্ষা পেতেন।

আর এই দর্নি নদী বাঙ্গন রোধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হলেও পরেনি যেন কারোর নজরে। এবিষ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ বলেন বিষয়টি আমার দৃষ্টিতে রয়েছে। শুধু অর্থের অভাবে বাস্থবায়ন করা হয়নি তবে বরাদ্দ আসলেই এটির সমাধান করা হবে।

Comments are closed.