কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরে সরিষা উঠিয়ে বোরো রোপনে ব্যস্ত কৃষক কৃষাণীরা

১৪৬

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: দমফেলার সময় পাচ্ছেনা রৌমারী- রাজিবপুরের কৃষির উপর নির্ভশীল কৃষক কৃষাণীরা। সরিষা উঠিয়ে বাড়িতে নেয়াসহ সরিষা মাড়াই করে ঘরে তুলতে দমফেলার সময় পাচ্ছেনা বাড়িতে থাকা কৃষাণীরা। অপরদিকে জমি থেকে সরিষা বাড়ী পৌছানোর, পর ওই জমিতে শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে হাল বেয়ে তৈরী করে বোরো রোপনে উপযোগী করতে ব্যস্ত কৃষকরা।

এদিকে ঘন ঘন বৃষ্টির পাশাপাশি তীব্র ঠান্ডা হওয়ায় সরিষা মাড়াইয়ে হিমসিম খাচ্ছেন বাড়ির কৃষাণীরা। ওদিকে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন তারপরেও বসে নেই দুই উপজেলার খেটে খাওয়া কৃষকরা। রৌমারী উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার বাম্পার ফলন পেয়েও খুশি হতে পারছেনা কৃষকরা। সরিষার দামও কিন্ত অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দীগুন পেয়েওে হতাশয় রয়েছে বৃষ্টির ছোবলে সরিষা চাষি কৃষকরা।

রৌমারী কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে চলতি বোরো মৌসুমে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধাণ করা হয়েছে। ঐতিপূর্বে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো রোপন সম্পূর্ণ হয়েছে বাকি জমিতে বোরো রোপন অব্যাহত চলমান রোপন করা হচ্ছে।

রাজিবপুর উপজেলায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে সরিষা উঠিয়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো রোপণে ব্যস্ত রয়েছে রাজিবপুরের কৃষির উপর নির্ভশীল কৃষকরা।

এবিষয় লেবারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ৬০ শতকের এক বিঘা জমির সরিষা উঠিয়ে মালিকের বাড়ি পর্যন্ত পৌছার, পর বোরো ধানের চারা উঠিয়ে ওই ১ বিঘা জমিতে বোরো রোপনের পর ৪ হাজার ২০০ টাকা মজুরি পেয়ে থাকি। এতে দেখা গেছে প্রচন্ড শীতে দিনরাত শ্রমের মজুরি পাচ্ছেন ৪ থেকে ৫০০ টাকা, এই হাজিরার টাকা দিয়েই ছেলে মেয়েদের ভোরণপোষণ করা হয়।

সরিষা বোরো রোপনে ব্যস্থ সময়ের বিষয় জানতে চাইলে রৌমারী কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী জানান সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে, পাশাপাশি মূল্যও ভালো পাচ্ছে। সরিষা উঠিয়ে বোরো রোপনে ব্যস্ত সবাই তবে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধাণ করা হয়েছে আশা করি আকাশ অনুকুলে থাকলে বোরো চাষেরও লক্ষমাত্রা বাস্তবায়ন হবে।

Comments are closed.