কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে পাহাড়ী ঢলের পানি আর হাতির পায়ের তোলায় পিষ্ট হয়ে হাওমাও করে কাদছেঁ কৃষকরা

২৩৮

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : সীমান্ত এলাকায় হাতির তান্ডবে অতিষ্ঠ ওদিকে কাটা ঘাযে লবনের ছিটা, পাহাড়ি ঢলের পানিতে দিশেহারা হয়ে পরেছে উপজেলার কযেক হাজার কৃষক। এমন ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা আলগার চর, বংশির ভিটা,লাঠিয়াল ডাঙ্গা,উত্তর আলগার চর, বালিয়ামারী, খেওয়ার চরসহ, কয়েকটি সীমান্ত এলাকায়। ভারতীয় বন্য হাতি প্রতি সন্ধ্যা হলেই কৃষকের রিজিকের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতির, বিষয় কারই নেই যেন মাথা ব্যাথা।

একদিকে ডুবছে ধান ৪ টাকার লেবার হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছেনা ওদিকে কেটে রাখা ধান রাত্রে এসে খেয়ে যায় হাতি এভাবেই সীমান্তবাসীদের জীবনযাপন করতে দেখা যায়। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পাকা ধানের উপরে পাহাড়ী ঢলের পানি অন্যদিকে হাতির তান্ডবে অতিষ্ট সীমান্তবাসীরা। প্রকিার চেয়ে দ্বারেদ্বারে ঘুরেও প্রতিকারের ছোয়াও লাগেনী বলে জানান ভুক্তভোগী চাষীরা। আরও জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার শ্যালোমিশিন গুলো সবই পারিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে আমরা সরকারের কাছে প্রতিকার চাই।

কৃষকদের হাহাকার কে শুনে আলগার চর গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন ৬২ শতকের একবিঘা জমির ধান কেটে ফেলে রেখে  বাড়িতে যাই পর দিন এসে দেখি সব ধান হাতি আইসা খাইছে। পাশে আরও দের বিঘা জমির ধান কাটতেই পারিনি সেগুলোও শেষ এখন বন্যার সময় ছেলে মেয়ে নিয়ে কিভাবে বেচে থাখবো ভেবেই দিশেহোড়া।

রাজিবপুর উপজেলার জাউনিয়ার চর গ্রামের কুষক মাহাম্মাদ আলী জানায় একবিঘার জমির ধান কেটে মাড়াই করে বস্তায় তুলে রাখা হয়েছিলো সকল বস্তা খাওয়ার পর পারিয়ে মাটির সঙ্গে মিষে গেছে এখন খেয়ে বাজবো ভেবে পাচ্ছিনা।

চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের বর্গা চাষি কৃষক মোছা মিয়া জানান একবিঘা জমি বর্গা চাষ করছিলাম ভারতের হাতি আইসা খাইছে এহুন পোলাপান খাইবো কি এইসব কথা বলেই হাওমাও করে কান্নায় ভেঙ্গে পরতে দেখা গেছে।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা কুষি কর্মকর্তার কাইয়ুম চৌধরী তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রায় ২২ হেক্টর জমির ধান হাতি তলিয়ে গেছে এবং ৭০ হেক্টর জমির বিন্ঠ, হাতি খেয়ে পারিয়ে বিনষ্ট করেছে প্রায ৪ হেক্টর জমির পাকা ধান। ক্ষতিগ্রস্তদের
তালিকা করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠাবো।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয় রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দল্লাহ জানান আমি হাতির তান্ডবের বিষয়টি যেনেছি এবং পাহাড়ী ঢলে ডুবে গেছে অনেক ফসল এবিষয় গুলো নিয়ে আমি উপর মহলের সঙ্গে কথা বলবো।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম হাতি এবং বন্যায় এ এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি স্বাধিত হয়েছে আমি আমার  উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে জানাবো যাতে করে কৃষকরা পোষিয়ে উঠতে পারে সেজন্য চেষ্টা করবো।

Comments are closed.