খালেদা জিয়া এখানে ভাল চিকিৎসা পাচ্ছেন : তথ্যমন্ত্রী

৩০৫
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি আন্দোলনের নানা ইস্যু খুঁজছে। তারা ভেবেছিল, খালেদা জিয়ার ইস্যুতে তাদের কর্মীদের মাঠে নামাতে পারবে। কিন্তু বাস্তবে কর্মীরা নামেননি। তারা খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে বাড়িয়ে বর্ণনা করেও যে ইস্যু তৈরির চেষ্টা করেছিল, সেটিও ঘটেনি। কারণ, খালেদা জিয়া এখানে ভাল চিকিৎসা পাচ্ছেন এবং আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য যা প্রয়োজন, তাঁর চিকিৎসকরা যেভাবে চায়, সরকার তা করতে বদ্ধপরিকর।’

‘কিন্তু বিএনপি খালেদা জিয়ার সুস্থতা চায় না, তারা চায় তিনি হাসপাতালে থাকুন। তাহলে তাদের রাজনীতি করতে সুবিধা হবে’, যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।

এ সময় বিএনপির সাম্প্রতিক মশাল মিছিল নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখন মশাল মিছিল বের করে তখন জনগণ আতঙ্কিত হয় এই ভেবে যে, তারা আবার কিসে আগুন দেয়। কারণ তারা বাসে, গাড়িতে, মানুষের সম্পত্তিতে আগুন দেওয়ার, অগ্নি-সন্ত্রাসের রাজনীতি করে।’

বিএনপি পরগাছার মতো আচরণ করছে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা কখনো ছাত্রআন্দোলন, কখনো গার্মেন্টস শ্রমিকদের ওপর ভর করে দেশে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপির অপর মন্তব্য ‘সরকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করছে’ এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা আর পেটের অসুখ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সূচক নয়। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বহু উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের সক্ষমতা এর অন্যতম সূচক।’

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে কত ভাল, করোনার মধ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে- উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক উন্নত দেশ যেভাবে সামাল দিতে পারেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক ভালভাবে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের চিকিৎসকরা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা কত ভাল কাজ করছে এ থেকেই তা প্রমাণিত।

এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

Comments are closed.