চিলাহাটিতে লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ট

0 ৭৮৯

nilfamariআবু ছাইদ, চিলাহাটি-নীলফামারী : ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে তীব্র লোড শেডিং ও প্রচন্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। গত ১ মাস যাবত সর্বোচ্চ তাপ মাত্রায় প্রচন্ড গরমে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। আর এই গরমের সাথে সমান তালে তাল মিলিয়ে পাল¬া দিচ্ছে বিদ্যুতের লোড শেডিং ও করছে দারুন লুকোচুরি খেলা। জানাগেছে এলাকার অনেকেই এই বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলাকে ডিজিটাল লুকোচুরি খেলা বলে আখ্যায়িত করেছেন। মারাত্মক ভাবে প্রভাব ফেলেছে এই ডোমার-চিলাহটিতে অনাকাঙ্খিত গরম ও লোড শেডিং। জনজীবনে এনেছে অস্থিরতা ও বিপর্যস্ততা। একটু খানি শীতল ছায়া ও ঠান্ডা বাতাসের জন্য চারগিদকটাই যেন হাঁ হাঁ করছে। জানা গেছে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডোমার-চিলাহাটি সহ গোটা উপজেলায় জনজীবন অস্থির হয়ে পড়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনেকেই বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের অবস্থা নাজুক। দিনমজুর, শ্রমিক শ্রেণির মানুষের অবস্থা আরও করুন ও দুরদশায়। অসহ্য গরমে ডায়রিয়া সহ গরমজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভীড় জমাচ্ছে হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ঔষধের দোকানগুলোতে। প্রখর রোদে এবং তীব্র তাপে ডোমার-চিলাহাটি সহ সকল হাট বাজার, রাস্তা পথ ফাঁকা হয়ে পড়েছে। কিছু সংখ্যক দোকান পাট দুপুরের দিকে বন্ধ রাখা হচেছ। অন্যদিকে তীব্রতাপে ও অসহ্য গরমে স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ায় বিঘœতার সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেড়িয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিচ্ছে বাড়িতেই। গরম থেকে একটুখানি শন্তি পেতে ঠান্ডা পানি সহ নানান জাতীয় পানীও পান করছে। এলাকায় যেমনি গরম তেমনি লোডশেডিং দুই মিলে একেবারে অতিষ্ট ও বিপর্যস্ত অবস্থা। মারাত্মক গরম আর লোড শেডিংয়ের ফলে এলাকার মানুষের জীবন থমকে দাড়িয়েছে। ঘন ঘন লোড শেডিং ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মানে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার সুধি মহল, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সাধারণ মানুষ। তাদের ভাষ্য, তারা জানান ডিজিটাল দেশ গড়তে যা প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ছাড়া কখনো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। বিদ্যুতের এই লোডশেডিংয়ের কারণে ডোমার-চিলাহাটি সহ সকল হাট বাজারের ব্যবসায়িদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এখন একটিই ¯ে¬াগান “শুধুই চাই ঠান্ডা আর শীতল পরিবেশ”।

ডোমারে পল¬ী বিদ্যুৎ এখন অটো,সেচ,আবাসিক গ্রাহকদের দখলে
আবু ছাইদ, চিলাহাটি-নীলফামারী : নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় পল্ল¬ী বিদ্যুৎ এর অবৈধ ব্যবহার আশঙ্খাজনক হারে বাড়ছে কিন্তু এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব রয়েছে বলে গ্রহকরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী, কেতকীবাড়ী, জোড়াবাড়ী, গোমনাতী, সহ ১০টি ইউনিয়নের পল্ল¬ী বিদ্যুতে বাড়ছে অবৈধ ব্যবহার। আবাসিক ও সেচ সংযোগে চলছে বানিজ্যিক কার্যক্রম। এই ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার অটো চার্জার গাড়ি রয়েছে। আর এই অটো চার্জার গাড়িগুলো চার্জ দেওয়া বানিজ্যিক সংযোগের আওতায় পড়ে।  কিন্তু  এই সমস্ত অটো চার্জার গাড়িগুলো চার্জ দেওয়ার মতো কোন বানিজ্যিক সংযোগ নেই। বৈধ গ্রাহকরা জানান আবাসিক ও সেচ সংযোগে এই সমস্ত অটো চার্জার গাড়ী গুলো চার্জ দেওয়া হচ্ছে। প্রতি অটো চার্জার গাড়ি চার্জ দিতে ৬০ টাকা করে নেওয়া হয়। যাহা সম্পূর্ন রুপে অবৈধ। আবাসিক সংযোগে ইউনিট মুল্য প্রায় ৫টাকা এবং সেচ সংযোগে মুল্যের চেয়ে ২০% ভর্তূগী দেওয়া হয়। অথচ অটো চার্জার গাড়িগুলো চার্জ দিতে বানিজ্যিক রেটে প্রায় ১১ টাকা ইউনিট হওয়া উচিৎ কিন্তু আবাসিক ও সেচ সংযোগে চার্জ দেওয়ায় পল্ল¬ী বিদ্যুৎ প্রকৌশলী লক্ষ লক্ষ টাকা থেকে বঞ্জিত হচ্ছে আর অটো, সেচ, ও আবাসিক গ্রাহকরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে বলে সাধারণ ও বৈধ গ্রাহকরা জানান। এলাকায় জানা যায়, গ্রামে গঞ্জে কিছু সংখ্যক সেচ মটর ও আবাসিক সংযোগের পার্শ্বে অটোচার্জারের গ্যারেজ হয়েছে। শুধু মাত্র  সেই গ্যারেজে অটো চার্জ দেওয়া হয়। গ্রাহকরা জানান, এই অবৈধ কর্মকান্ডগুলো কিছু সংখ্যাক অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী এবং এলাকার কয়েকজন দালালদের মাধ্যমে চলছে। সাধারণ এবং বৈধ গ্রাহকরা জানান পল¬ীবিদ্যুৎ এর উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষ যেন এ ব্যাপারে সুদৃষ্টির মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.