চীনা PLAAF তাইওয়ান স্ট্রেইট দিয়ে যাওয়া জাহাজের সমালোচনা করার সময় তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে

১৩৫

২০১৯ সালে তাইওয়ান তাদের আকাশসীমায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স বা চীনা এয়ারফোর্সের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে একাধিক অভিযান শুরু করে। বারবার এ ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তারা এ অভিযান শুরু করে এবং অক্টোবরের মধ্যে প্রায় ১৫০ অনুপ্রবেশ নিবন্ধিত করে। ২৬ অক্টোবর তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চীনা এয়ারফোর্সের আরো ২টি অনুপ্রবেশ নিবন্ধিত করে, যেটা ছিল প্রথমবারের মত দ্বীপদেশটির নির্ধারিত আকাশ প্রতিরক্ষঅ সীমায় কোন চীনা মিলিটারি হেলিকপ্টারের প্রবেশ। ”সংবাদ সূত্র: A24 News Agency

বিশ্লেষেকেরা বিশ্বাস করেন যে চীন যতই াবি করুক এগুলি তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না, তবু এতে তাইওয়ানের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে কারণ এটি তাইওয়ানকে এক ধরনের উসকানি য়ে। তাইওয়ান কোন অজুহাতে এটি মেনে নেবে না। চীন আগে একাধিকবার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, কানাডা এবং জাপানি জাহাজ যাতায়াতের সমালোচনা করেছে এই বলে যে এটি তাইওয়ানের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে। যদিও ঐ দেশগুলো বলেছিলো যে তারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় পড়ে এবং কেউই তাদের সেখান দিয়ে চলাচলের ব্যাপারে বাধা দিতে পারে না।

তাইওয়ান বিমান বাহিনীর প্রাক্তন জেট চালক চ্যাং ইয়েন তিং বলেন, ”সমুদ্র আইনে জাতিসংঘের কনভেনশন অনুসারে বিনা বাধায় নৌ চলাচলের আন্তর্জাতিক আইন মানতে যুক্তরাষ্ট্র জোর দেয়। তারা সবসময় এটা দাবি করে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন যে তাইওয়ান প্রণালীটি খোলা কারণ আঞ্চলিক সমুদ্র সীমা ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত। চীন এবং তাইওয়ান উভয়েরই সীমা ১২ নটিক্যাল মাইল ছাড়িয়ে গেছে এবং বাকিটা খোলা সমুদ্র।

তিনি আরো বলেন, ”আমার দৃষ্টিতে তাইওয়ান প্রণালীটি একটি খোলা আন্তর্জাতিক সমুদ্র।” প্রাক্তন এ পাইলট এ২৪ নিউজকে আরো বলেন, ”চীনা কমিউনিস্ট পার্টি সবসময়ই বলে, ’দূর থেকে আক্রমণ, ্রুত বিজয় অর্জন’; ’প্রথম যুদ্ধই বিজয়ের যুদ্ধ’; ’দ্রুত আক্রমণ করুন, দ্রুত যুদ্ধ শেষ করুন’ এবং ’সরাসরি যুদ্ধ’। সুতরাং বলা যায় সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশগুলি সরাসরি আক্রমণের প্রতিনিধিত্ব করে। ভবিষ্যতে আমরা স্থল ও জল উভয়দিকে থেকে আক্রমণ খেতে পাবো না। তারা এই জে-১৬ বা জে-২০ স্টিলথ ফাইটার ব্যবহার করবে। এমনকি সু-৩০ বা সু-২৭, অথবা জে-১১ ও জে-১০ দিয়ে আক্রমণ করবে। এগুলো দিয়ে তারা আকাশ পথে শ্রেষ্ঠত্বের নিয়ন্ত্রণ নেবে।”

সহকারী অধ্যাপক হো চিহ ইয়াং জানান, ”অতীতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি জনগনকে বুঝিয়েছে যে তাদের ৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্দেশ্য একই। তারা তারে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কাজ করে। আর আমি মনে করি যে পিএলএএএফ অনুপ্রবেশগুলি বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কারণ চীন যদি তাইওয়ানকে তাদের সাথে সংযুক্ত করতে চায় বা তার কাঠামোর অধীনে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় তাহলে তাইওয়ানের জনগনকে প্রভাবিত করতে আগে তাদেরকে নরম পন্থা অবলম্বন করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, ”কিন্তু যদি তারা তাইওয়ানে জেট ফাইটারদের পাঠায় এবং দাবি করে যে এগুলো সামরিক মহড়া যা তাইওয়ানের জনগনের লক্ষ্য নয় এবং তারা তাতে একমতও হবে না। তাইওয়ানের লোকজন এটি মেনে নেবে না।”

Comments are closed.