ঝিনাইদহে জমি সংক্রান্ত বিরোধে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

0 ৩,০২০

jjজাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের সদর উপজেলার কালিকাপুর কাজী পাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে সনজেরকে কুপিয়ে জখম করেছে গনি কাজীর তিন ছেলে ও ভাড়াটে সন্ত্রসীরা।

কালিকাপুর গ্রামের প্রত্যাক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ ও খালেকের বক্তব্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কালিকাপুর কাজী পাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে প্রফেসর সনজেরকে কুপিয়ে জখম করেছে গনি কাজীর তিন ছেলে মনোয়ার হোসেন (৪০),আনোয়ার (৩০),রিজু (৪৫) ও ভাড়াটে সন্ত্রসী হাফিজ (৩৫)।

আহত সনজেরের বড় কন্যা মিমির সুত্র মতে জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর কাপাসাটিয়ার হাজী এরশাদ আলী ডিগ্রি কলেজের প্রফেসর সনজের আলীর সাথে পাশের বাড়ির গনি কাজীর জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।

সনজের নিজের বসত বাড়ির পাশে আলাদা ঘর করে ভাড়ায় দিয়েছেন। তার ভাড়ায় দিয়া ঘরের জমি দখল করতে গনি কাজীর তিন ছেলে প্রায়ই হুমকি ধামকি দেয়।

জমি সংক্রান্ত বিরোধে বিভিন্ন অফিস-আদালত, কোর্টের রায়ও আসে প্রফেসর সনজেরের পক্ষে। বিভিন্ন অফিস-আদালত ও কোর্টের রায় গনির বিপক্ষে গেলে, গনির তিন ছেলে ও গনির ভাড়াটে হাফিজ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রফেসর সনজেরকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকে।

মিমি আরো জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর ১টার দিকে প্রফেসর সনজের তার নতুন বাড়ি থেকে নিজের পুরানো বাড়িতে আসতে এস আই মিজানের বাড়ির সামনে পুকুরের কাছে পৌছানো মাত্রই পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে গনি কাজীর তিন ছেলে ও ভাড়াটে হাফিজ প্রফেসর সনজের আলীর উপরে ঝাপিড়ে পড়ে উপর্যুপরি রামদা দিয়ে কুপাতে থাকে।

সনজের তার নিজের জীবন রক্ষার্থে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয়। সনজের আলীর আর্তচিৎকারে পাশের দোকানে বসে থাকা জনৈক গনি, সুমন হোসেন, সুমন আলী, জাহাঙ্গির সহ স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে সনজের কে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পৌছালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ রেফার্ড করেন।

এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত প্রফেসর সনজের আলীর ছোট ভাই জাহাঙ্গিও সাংবাদিককে জানান, এখনও সনজের আলীর অবস্থার উন্নতি হয় নাই। সম্ভবত আজ রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হতে পারে।

এ ঘটনায় গনির ছেলে-আনোয়ারের স্ত্রী রিমা খাতুন সাংবাদিককে বলেন, সনজের আলীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা সত্য, কিন্তুু ঘটনার সময় আমার স্বামী আনোয়ার ঘটনাস্থলে ছিলোনা।

সে মাগুরায় রাজমিস্ত্রি কাজের উদ্দেশ্যে মাগুরায় অবস্থান করে। আমার স্বামী আনোয়ার ছাড়া-মনোয়ার হোসেন, রিজু ও ভাড়াটে হাফিজ প্রফেসর সনজেরকে কুপিয়ে জখম করে।

উল্লেখ, এ ঘটনার জের ধরে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর কাপাসাটিয়ার হাজী এরশাদ আলী ডিগ্রি কলেজের প্রভাসক সনজের আলীকে হত্যার চেষ্টাই সন্ত্রাসীদের সাজার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় ছাত্র-ছাত্রীরা মানববন্ধন করেন।

ঝিনাইদহের মহেশপুরে এবার বাল্যবিয়ে দিতে ইউএনও’র কাছে বাবার আবেদন !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দেবার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন এক পিতা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাহাজ্জেল হোসেন ও তার স্ত্রী সোনাভান এ আবেদনটি করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি শোনার পর মেয়ের বিয়ে বন্ধ ঘোষণা করেন এবং মেয়েটির লেখাপাড়া চালিয়ে নেবার জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান জানান, মহেশপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের ভ্যানচালক বাজাজ্জেল হোসেন নাটিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া মেয়ে সাগরিকা খাতুনকে বিয়ে দিতে অনুমতি চান।

মেয়ের বাবা তাকে বলেন, একটি ভাল ছেলে পাওয়া গেছে। তারা সেই পাত্রের সাথে মেয়েকে বিয়ে দিতে চান। ইউএনও জানান, তাদের কথাবার্তা ও মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার পড়াশোনা চালিয়ে নিতে সহযোগিতার করার আশ্বাস দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) চৌধুরী রওশন ইসলাম ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জুলফিকার আলী। উল্লেখ্য, মহেশপুর উপজেলাকে বাল্য বিয়ে মুক্ত ঘোষণা করার জন্য উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।

ইতিমধ্যে বহু বাল্য বিয়ে রোধ করা হয়েছে। জেল হয়েছে হবু শ্বশুর ও বরের। সেই ভয়ে মঙ্গলবার বাহাজ্জেল হোসেন মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার অনুমতি নিতে আসেন। কিন্তুু তার সে আশা পুরণ হয়নি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.