ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারের টিআর কর্মসূচীর সংস্কার কাজের টাকা ব্যয় হচ্ছে ভিন্নখাতে

0 ৮৪০

thakurgaআল মাহামুদুল হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি,আর) কর্মসূচীর আওতায় সংস্কার কাজের নামে টাকা ব্যয় হচ্ছে ভিন্ন খাতে। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কিছু  অসাধু কর্মকর্তার কারনেই সরকারের বরাদ্দকৃত টাকা উন্নয়নের ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে আসছেনা বলে মনে করছেন শুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি,আর) কর্মসূচীর আওতায় ২০১৫/১৬ অর্থ বছরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈজিত সংগঠন, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দ্রীরসহ প্রায় ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে  এ কর্মসূচীর আওতায় ঘড় সংস্কার কাজের জন্য ১ থেকে ৫ মেঃ টঃ চাল বরাদ্দ দিয়ে গত জুন মাসেই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)।
কিন্তু বাস্তবতার চিত্র ভিন্ন। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশিরভাব প্রতিষ্ঠান নাম মাত্র কাজ করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে কমিটির মাধ্যমে। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠান কমিটির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেও বিন্দু মাত্র সংস্কারের কাজ করেন নি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তালিকা অনুযায়ী অনুসন্ধান করে দেখা গেছে উদীচি শিল্প গোষ্ঠি, নিক্কন সংগীত বিদ্যালয়, ফারাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘড় সংস্কার কাজে বরাদ্দ প্রদান করা হলেও কোন কাজ করেন নি প্রতিষ্ঠানের কমিটিগন। আর শহরের অপারাজেও ৭১ এর কাজ কিছুটা শুরু করে তা আবার বন্ধ রয়েছে। এসব কিছুর মুলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ফিল্ড অফিসার এবং টাকা উত্তোলনকারি কমিটির যোগ সাজসে টাকা লোপাট হচ্ছে বলে মনে করছেন শুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। সরকারের এমন মহৎ উদ্যোগ কাগজে কলমে রক্ষা করতেই তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। আর তালিকা প্রেরনের পর বরাদ্দকৃত প্রতিষ্ঠান কমিটি সংস্কার কাজ কতটুকু বাস্তবায়ন করেছেন তাও খতিয়ে দেখা হয় না। অথচ বছরে বছরে একই প্রতিষ্ঠানকে ১ থেকে ৫ মেঃ টঃ পর্যন্ত বরাদ্দ দেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী জানান, কোন প্রতিষ্ঠানকে কয় টন দিতে হবে, কে সুপারিশ করলো না করলো তা দেখার বিষয় না। দেখার বিষয় হচ্ছে যে প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানের কতটুকু কাজ হলো সংস্কার কাজের অগ্রগতি কি তা দায় কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার । তিনি তার অফিসারকে দিয়েও কাজের অগ্রগতি সর্ম্পকে জানতে পারেন। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তা করেন না গাঁ ছেরে দিয়ে বসে থাকেন। তাহলে সরকারের মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে কি করে। টাকা তো অন্য খাতে ব্যয় হবেই। আমি মনে করি তা খতিয়ে দেখা হোক।
আর এ বিষয়ে সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা আমাদের মত চেষ্টা করি  কাজ তদারকি করার। এরপরও যদি ভুল হয় তাহলে অযান্তেই তা হয়। তবে শতভাগ না হলেও বেশিরভাগ কাজই বাস্তবায়ন হয় বলে দাবি এই কর্মকর্তার।

দূর্গোৎসব উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান মানুষের চাঁপে শিশুসহ বেশ কয়েকজন অসুস্থ
আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও : দূর্গোৎসব উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে ঠাকুরগাঁও ১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন এমপি। এসময় মানুষের চাঁপে শিশুসহ বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পরেন।
সোমবার দুপুর ১২ টায় শহরের কলেজপাড়াস্থ নিজ বাস ভবনে অতিদরিদ্র মানুষের মাঝে এমপি রমেশ চন্দ্র সেন নগদ অর্থ বিতরণ করেন। টাকা বিতরনের সময় হুরোহরি করে এমপি’র বাসায় প্রবেশ করেন প্রায় ৩হাজার দরিদ্র মহিলা। এদের মধ্যে ছিল শিশু ও বৃদ্ধরাও। টাকা বিতরণ করতে বিলম্ব হওয়ায় জায়গা সংকটের কারনে মানুষের চাপে শিশুসহ বেশ কয়েকজন অসুস্থ হলে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানার ওসি মশিউর রহমান, সদর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন সহ অনেকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.