ঢাকা টেস্ট জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৩১

0 ২৫০

১১৩ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে ১১৭ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঢাকা টেস্ট জিততে স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য এখন ২৩১ রান।

ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতেই বাংলাদেশকে জোড়া সাফল্য এনে দেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। দিনের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে জোমেল ওয়ারিকেন ও একাদশতম ওভারের প্রথম বলে চট্টগ্রাম টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান কাইল মায়ার্সকে সাজঘরে ফেরত পাঠান এই গতি তারকা। এরপর জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে তুলে নেন তাইজুল ইসলাম।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ক্যারিবীয়ান ব্যাটসম্যানদের সামনে নিজের ঘূর্ণিমায়া বিছিয়ে দেন প্রথম ইনংসে ৪ উইকেট শিকারি তাইজুল। এনক্রুমা বোনার একপ্রাপ্ত আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। এক এক করে সাজঘরে ফেরত পাঠান জসুয়া ডি সিলভা ও আলজারি জোসেফকে। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করা বোনার ও রাকিম কর্নওয়েলকে আউট করে তাইজুলকে যোগ্য সঙ্গ দেন ৩ উইকেট পাওয়া নাঈম হাসান।

বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ৪টি, নাঈম ৩টি, রাহী ২টি ও মিরাজ ১টি উইকেট নেন।

এর আগে গতকাল শনিবার উন্ডিজের প্রথম ইনিংসে করা ৪০৯ রানের জবাবে ২৯৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ১১৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪১ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করে ওয়েস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

গতকাল শেষ বিকেলে অতিথিদের মূল্যবান তিন উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। একটি করে উইকেট পান নাঈম হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।

প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিপরীতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই হতাশ করে বাংলাদেশ। গত শুক্রবার চার উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সাবধানী শুরুর পর প্রথম সেশনে হতাশ করেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। বড় ইনিংস গড়ার আশা জাগিয়ে দুজনেই প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দিয়ে ফিরেছেন।

১৩৯ মিনিট ব্যাট করে ৮৬ বলে ১৫ রান করে ফেরেন মিঠুন। এর পর আউট হন মুশফিক। অবশ্য হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। ৪৫তম ওভারে রাকিম কর্নওয়ালের বল মিডঅনে সিঙ্গেল নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২২তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক।

আগের দিনের দুই সেট ব্যাটসম্যান মুশফিক ও মিঠুনকে হারিয়ে প্রথম সেশনে ফলোঅন শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেই খাদ থেকে দলকে টেনে তুলেন লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের ১২৬ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ জুটি। তাদের জুটি দারুণভাবেই এগোচ্ছিল। কিন্তু তৃতীয় সেশনের শুরুতেই ছন্দপতন। কর্নওয়েলের বলে লিটন কট বিহাইন্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। ফেরার আগে ১৩৩ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর মিরাজের প্রতিরোধে বাধা হয়ে দাঁড়ান শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ১৪০ রানে ৭ বাউন্ডারিতে মিরাজ করেন ৫৭ রান। এরপর দ্রুতই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.