‘তিন বিভাগে ভালো করলেই জেতা সম্ভব’

0 ২৭২
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে সৌম্য সরকার। ছবি : সংগৃহীত

চলমান নিউজিল্যান্ড সফর দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে বাংলাদেশের। ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখে এরই মধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করেছে কিউইরা।

চলমান সফরের শেষ ও সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে জিততে হলে ব্যাটি, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই জ্বলে উঠতে চায় বাংলাদেশ। আর সেটা করতে পারলে জয় সম্ভব বলে মনে করেন বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার।

 

করোনাকালে প্রথম বিদেশ সফরে পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ কেটেছে হতাশায়। এরপর টি-টোয়েন্টিতেও একের পর এক হার।

 

তাই শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য সব বিভাগে ভালো করার তাগিদ দেখালেন সৌম্য, ‘অবশ্যই এখানে (নিউজিল্যান্ডে) জেতা সম্ভব। কিন্তু আমরা যেভাবে খেলছি যেমন– একদিন বোলাররা ভালো করছে, আরেকদিন ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগ মিলে যদি আমরা ভালো করতে পারতাম, তাহলে আমাদের জন্য সহজ হতো।’

 

অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান আরও বলেন, ‘এখন আমাদের আর একটা ম্যাচ বাকি আছে। সেই ম্যাচে আমরা যদি তিন বিভাগে ভালো করতে পারি, তাহলে জেতা সম্ভব। শেষ ম্যাচে আমাদের ফিল্ডিং ভালো হয়, দুইটা ক্যাচ মিস হলেও মোটামুটি ভালো হয়েছে। এমন যদি তিন বিভাগেই ভালো করতে পারি তাহলে আমরা কাল জিততে পারব।’

 

অবশ্য গতকাল মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভালো লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। তবে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ভেস্তে গেছে বাংলাদেশের চেষ্টা। ডিএল ম্যাথডে ভুল লক্ষ্য নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল।

 

বৃষ্টি আইনে প্রথমে ১৬ ওভারে বাংলাদেশকে লক্ষ্য দেওয়া হয় ১৪৮ রানের। এই রান তাড়া করতে নামে বাংলাদেশ। প্রতি ওভারে ৯.২৫ রান নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে শুরু করেন ওপেনার নাঈম ও সৌম্য।

 

ইনিংসের ১.৩ ওভার যেতে খেলা থামিয়ে দেন দুই আম্পায়ার। জানান, বাংলাদেশকে দেওয়া লক্ষ্য নাকি ভুল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ রেখে হিসাব-নিকাশ শেষে দেওয়া হয় ১৭১ রানের লক্ষ্য। মুহূর্তেই আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা তৈরি হয় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ওই রান তাড়া করতে গিয়ে ২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।

 

ঘটনাটি নিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যেও প্রভাব দেখা দেয়। সৌম্য বলেন, ‘প্রথম টার্গেটটা নিয়ে সবার মধ্যে ইতিবাচক ভাব ছিল, যেটা পরে ছিল না। প্রথমে আমরা যখন ব্যাটিংয়ে নামি তখন লক্ষ্য ঠিক ছিল না। পরে আমি যখন ব্যাটিংয়ে নামি তখন আম্পায়ার জানাল, লক্ষ্য তো আরেকটা হবে। এরপর প্রথম বলে যখন চার মারি তখন নিজের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস হয়। চেষ্টা ছিল, দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেওয়ার। আগের ম্যাচটা তো ভালো হয়নি। এটায় ভালো কিছু করার ইচ্ছা ছিল। উইকেটও ভালো ছিল, ম্যাচটা জিততে পারলে আরো ভালো লাগতো।’

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.