দণ্ড স্থগিত, খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী

0 ৩০৪

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজার প্রক্রিয়া আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে তাঁর মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এই সময়ের মধ্যে বেগম জিয়া দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন না।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টায় গুলশানে নিজ বাসায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ব্রেকিংনিউজ

আইনমন্ত্রী জানান, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে বয়স ও মানবিক বিবেচনায় ৬ মাসের জন্য খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, ‘এই সময়ে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে দেশের বাইরে পাঠানো মানে তাকে সুইসাইড করতে বলা। অতএব তিনি বাসাতেই থাকবেন। বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেবেন। তাঁর সাজা স্থগিত করা হয়েছে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১/১ ধারা অনুযায়ী।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৬ মাসের জন্য বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুটি শর্তে তাঁকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো- এই সময়ে তাঁর ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।’

বাসায় থাকাকালীন বেগম জিয়া চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে পারবেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে তো যেতেই পারবেন। কিন্তু হাসপাতালে যদি ভর্তিই হতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের সবচেয়ে মানসম্পন্ন হাসপাতাল সেখানে তো তিনি আছেনই। হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি হতে হলে সেটা অবস্থার প্রেক্ষিতে বোঝা যাবে। কিন্তু শর্ত হচ্ছে, তিনি ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। দেশের বাইযে গমন করতে পারবেন না।’

বেগম জিয়া কখন মুক্তি পাচ্ছেন- জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘যখন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে মুক্তি দেবে।’

এর আগে বিদেশে চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিল বেগম জিয়ার পরিবার। তবে ওই চিঠিতে খালেদা জিয়ার প্যারোলের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু লেখা হয়নি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন বেগম জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম। কিন্তু সরকার খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দিলেও পরিবারের কোনও আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়ার ৫ বছরের সাজা হয়। ওইদিন থেকেই পুরান ঢাকা নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে হাইকোর্ট বেগম জিয়ার সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এর পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সাজা হয়।

দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে গত ১১ মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে কারা নজরদারিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

Leave A Reply

Your email address will not be published.