বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: মহানগরীর লক্ষীপুর মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল উন্মোচন করা হয়েছে। রাজশাহী জেলা পরিষদ প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২১ ফুট উচ্চতার এই ম্যুরালটি নির্মাণ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। পরে মোনাজাত করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাঈমুল হুদা রানা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র লিটন ম্যুরালটি নির্মাণ করার জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে এটি নির্মাণে সহযোগীতা করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদকেও ধন্যবাদ জানান। ম্যুরালের আরও সৌন্দর্য্যবর্দ্ধন করতে মাসখানেকের মধ্যে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই ম্যুরালের চারপাশে টাইলস বসিয়ে দেয়ারও ঘোষণা দেন মেয়র লিটন।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন সারাশহরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মামলা, হামলা করে নাজেহাল করছিল তখন জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের এই ল²ীপুর মোড় ছিলো সবার আশ্রয়স্থল। এখান থেকেই আমরা বহু মিটিং-মিছিল করেছি। এখানে বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল দরকার ছিলো। জেলা পরিষদ করে দিয়েছে। এখন বিএনপি-জামায়াত ও তাদের প্রেতাত্মারা এ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ে শিহরিত হবে।
মেয়র বলেন, রাজশাহী কলেজ কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর একটি সুউচ্চ ম্যুরাল করেছে। এটা দ্বিতীয় ম্যুরাল হলো। আগামী বছর জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীর আগেই রাজশাহীতে আরও ৬ থেকে ৭টি ম্যুরাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিআ্যান্ডবি মোড়ে জেলা পরিষদের জমিতে নির্মাণ হবে ৭২ ফুট উঁচু একটি ম্যুরাল। এর ডিজাইন ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হয়েছে। এটি হবে দেশে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে উঁচু ম্যুরাল।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, জাতির পিতার জন্ম না হলে আজ আমরা স্বাধীন দেশ, পতাকা পেতাম না। তার ম্যুরাল নির্মাণ করতে পেরে জেলা পরিষদ গর্বিত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সার্বক্ষণিক সহায়তা করেছেন রাজশাহীর কৃতি সন্তান জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান। রাজশাহী জেলা পরিষদ তারও ম্যুরাল নির্মাণ করবে। ম্যুরালের উন্মোচন শেষে মোনাজাত করা হয়। পরে মেয়র বঙ্গবন্ধুর এই ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শ্রদ্ধা জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। পরে জেলা মহিলা লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ এবং জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেশা তালুকদার, সাবেক এমপি আক্তার জাহান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব, প্যানেল চেয়ারম্যান-২ রবিউল আলম, প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নার্গিস আক্তার, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, প্রচার সম্পাদক উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সদস্য আবুল ফজল প্রামাণিক, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান ফিরোজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বদরুজ্জামান রবু মিয়া, আবদুল মজিদ সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান, আলফোর রহমান, আহসানুল হক মাসুদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আ.ও.ম নুরুল আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আখতারুজ্জামান আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাজবুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, জেলা মহিলা লীগের সম্পাদিকা নাসরিন আখতার মিতা, যুব মহিলা লীগের সম্পাদিকা পূর্ণিমা ভট্টাচার্যসহ জেলা পরিষদের অন্যান্য সদস্য এবং সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ।