ননএমপিও শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত

0 ৩৯৩

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: সব প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। শুক্রবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করার ঘোষণা দেয়া হলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে ফোনালাপের পর সে কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা। তবে, এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা। আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ননএমপিও শিক্ষক নেতাদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সভার আগ পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষকরা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি তুলে ধরবেন বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক নেতারা। তবে, ননএমপিও শিক্ষকদের অপর অংশের নেতা মো. এশারত আলী এ আন্দোলনে নেই বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন।

একযোগে ৫ হাজার ২৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ ও হস্তক্ষেপ কামনা করে গত ১৪ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর বেলা বারোটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলেও প্রেসক্লাবের কাছেই কদম ফোয়ারার সামনে মিছিলের গতিরোধ করে পুলিশ। সেখান থেকে ফিরে এসে তারা ফের প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।

আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের পর নতুন সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান অবস্থানরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভুষন রায় দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন তাই অনশন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী রোববার বৈঠকে এমপিও নীতিমালায় পরিবর্তন-সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত জানাবো।’

প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানরত শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আর জানান, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অধিকার আদায়ের দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। নতুন নীতিমালাটি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা হলেও আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান করিয়ে আসছি। ৫ হাজার ২৪২টি প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেলেও নীতিমালার কথা বলে আমাদের দমিয়ে রাখা হচ্ছে। একাডেমিক স্বীকৃতিই এমপিও মানদণ্ড। আমরা সে হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত হবে সে আশা করছি। তাঁরা আরও জানান, ‘আমরা শুরু থেকেই দাবি জানাচ্ছি স্বীকৃতপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার। বিভিন্ন সময়ে সরকার যখন প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে তখন সব যোগ্যতাই ছিল। কয়েকবছর আগে পরে এমপিওভুক্তির সময় শিক্ষার্থী কম, অমুক-তমুক কম বলা হচ্ছে। কিন্তু তা শিক্ষকদের কাছে এসব যুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না’।

শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘আমরা নীতিমালা মানি না। নীতিমালা একটাই একাডেমিক স্বীকৃতি। নতুন এমপিও খুবই কঠোর। এ  নীতিমালা রাজনৈতিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি। শিক্ষক সমাজ বা সুধী সমাজ থেকেও তা পর্যালোচনা করা হয়নি। এ নীতিমালা আমরা মানি না।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.